হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ায় পিৎজা!
---
লাইফস্টাইল ডেস্ক :খেতে সুস্বাদু তবে শরীরের পক্ষে একবারেই ভালো নয় এই খাবারটি। কারণ পিৎজাতে মাত্রাতিরিক্ত পরিমাণে ক্যালরি, সোডিয়াম এবং সেচুরেটেড ফ্যাট থাকে। আর এই উপাদানগুলির সবকটাই নানাভাবে শরীরের ক্ষতি করে। পিৎজার একটা স্লাইসেই প্রায় ৩০০ ক্যালোরি, ১৪ গ্রাম ফ্যাট বা চর্বি এবং প্রায় ৭০০ এম জি সোডিয়াম বা লবণ থাকে। শুনলে আবাক হয়ে যাবেন হয়ত, ধূমপাণ এবং অ্যালকোহল সেবন করলে যে মাত্রায় শরীরের ক্ষতি হয়, পিৎজা খেলেও একই রকম নেতিবাচক প্রভাব পড়া শরীরের উপর। আর কী কী ক্ষতি হতে পারে পিৎজা থেকে চলুন জেনে নেই সেই সম্পর্কেঃ
১। পিৎজা বানানোর সময় রিফাইন্ড ময়দার প্রয়োজন পরে। আর রিফাইন্ড ময়দা শরীরের পক্ষে একেবারেই ভালো নয়। ময়দায় উপস্থিত ভিটামিন, ফাইবার সহ আরও নানা মিনারেলস সব নষ্ট হয়ে যায়, যখন সাধারণ ময়দাকে রিফাইন করা হয়। ফলে এই রিফাইন্ড ময়দা খেলে শরীরের কোনও ভালো তো হয়ই না, বরং পেটের মেদ বাড়তে শুরু করে।
২। পিৎজায় যে চিজ থাকে তা শরীরে কোলেস্টরলের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়ে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয়। আর যদি আপনি নন-ভেজ পিৎজা খেতে পছন্দ করেন, তাহলে বিপদের মাত্রা আরও বেশি বেড়ে যায়। এছাড়াও পিৎজায় এমন কিছু অ্যাটিটিভস ব্যবহার করা হয়, যা রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। ফলে নানা ধরনের শারীরিক জটিলতা হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়।
৩। শরীরে বাইরে থেকে যত লবণ প্রবেশ করবে, তত রক্ত চাপ বাড়বে। পিৎজায় লবণের পরিমাণ খুব বেশি থাকে। যদি কেউ এই খাবারটি প্রায় দিনই খেয়ে থাকেন, তাহলে আপনাকে উচ্চ রক্ত চাপের সমস্যায় আক্রান্ত করে ফেলবে।
৪। একাধিক গবেষাণায় দেখা গেছে যে যে উপাদানগুলি দিয়ে পিৎজা তৈরি করা হয়, সেগুলি মস্তিষ্কে এমন কিছু পরিবর্তন করে যাতে ওই খাবারের প্রতি একটা আশক্তি তৈরি হয়। ফলে একবার কেউ পিৎজা খাওয়া শুরু করলে বারে বারে তা খেতে ইচ্ছা করে। যেমনটা সিগারেট এবং মদের ক্ষেত্রে হয়ে থাকে। ফলে পিৎজা খাবারটির প্রতি একটা এডিকশন তৈরি হয়ে যায়।
৫। খেতে সুস্বাদু হওয়ার করণে অনেক পরিমাণে পিৎজা খাওয়ার ইচ্ছা যাগে। ফলে ওজন বৃদ্ধি, উচ্চ রক্তচাপ, টাইপ-২ ডায়াবেটিস এবং কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ সহ আরও নানান জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। সূত্রঃ বোল্ডস্কাই।