ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মিনি কক্সবাজারে ঈদকে ঘিরে উপচে পড়া ভিড়
---
নিজস্ব প্রতিবেদক : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর-সরাইল সড়কের ধরন্তী-পুটিয়া ঘাটে ঈদকে ঘিরে বছরের এই বর্ষা মৌসুমে ” মিনি কক্সবাজার ” নামে খ্যাত স্হানটিতে হাজার হাজার দর্শনার্থীর পদচারনায় মূখরিতহয়ে উঠেছে। ঈদের দিন থেকে এখানে মানুষের আসা-যাওয়া কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে, আর দিনের শেষ ভাগে বিকাল বেলায় সব বয়সের মানুষ আসতে থাকে ধরন্তী-পুটিয়ার আকাশী হাওরে মনো মুগ্ধকর স্হানটিতে ।আর এজন্য গত তিনদিন ধরে বাধঁভাঙ্গা জোয়ারের মত হাজার হাজার মানুষের ঢল নামতে থাকে। তবে চোখেঁ পড়ার মত বিষয় হলো শিশু,কিশোর ও নারীর সংখ্যা বেশী।
স্বাধীনতার ৪৫ বছরেও নাসিরনগর-সরাইল উপজেলায় সরকারি-বেসরকারিভাবে কোথাও গড়ে উঠেনি কোন ধরণের বিনোদন কেন্দ্র। তাই ঈদউৎসব ও পূজা পারণে কর্মস্থল থেকে বাড়িতে ছুটিতে আসা বিনোদন প্রেমি মানুষগুলো পরিবার -পরিজন নিয়ে এটকু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে এখানেই ভিড় করেন।এবারের ঈদ উৎসবেও এর কোন ব্যতিক্রম ঘটেনি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় যে, নাসিরনগর-সরাইল এলাকার মানুষ ছাড়াও জেলার আশে-পাশের উপজেলাসহ বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার ভ্রমণ পিপাসুরা ঘুরতে এসেছে।প্রাইভেটকার,মাইক্রোবাস,
দিগন্ত জোড়া এই হাওরের পশ্চিম প্রান্তে মেঘনা আর পূর্ব প্রান্তে তিতাসসহ অসংখ্য ছোট-বড় খাল,বিল ও জলাশয় রয়েছে।হাওরের পেট কেটে চলে গেছে লাখাই-নাসিরনগর-সরাইল সড়ক।
বর্ষার মৌসুমে রাস্তার দুই পাশে থৈ থৈপানি মাঝে পিচঢালা পথ দেখে মনে হবে এ পথটি যেন পানিতে ভাসছে।দূরে-দূরে দেখা যাচ্ছে ছোট ছোট গ্রাম যা দেখতে অনেকটা দ্বীপের মত মনে হয়। সে সাথে আর বিকেলে স্নিদ্ধ বাতাস, দলায়িত ঢেউ,নৌকায় ঘোরাঘুরি আর শেষ বিকেলের সূর্যাস্ত ডুব দেওয়ার এক অপরুপ দৃশ্য দেখার জন্য দর্শকদের ভিড়ে বিল আকাশী মুখরিত হয়ে উঠে।
তাই এলাকাবাসী এই স্হানটির নাম দিয়েছে “মিনি কক্সবাজার”।
আকাশী হাওরে ভ্রমণে আসা শরিফুল, কামরুজ্জাম্মান ও মৌসুমী জানান, বিল আকাশীর বুক দিয়ে নির্মাণ হওয়ায় হাওর বেষ্টিত খেয়াঘাট এখন আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্রে পরিনত হয়েছে।হাওরটি ঘিরে এখানে পর্যটনকেন্দ্র গড়ে তোলা সম্ভব।তবে এ জন্য প্রয়োজন সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা। আর আমরা এখানে ঘুরতে আসাতে এখানকার হত-দরিদ্র হাতের তৈরী অনেক পণ্য বিক্রি করে হচ্ছেন অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান।