গাইবান্ধার ৪টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করলেন এরশাদ
---
গাইবান্ধা প্রতিনিধি : জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধার পাঁচটি আসনের চারটিতে নিজ দলের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছেন।
তারা হলেন— গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ)-এ ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, গাইবান্ধা-২ (সদর)-এ মো. আবদুর রশিদ সরকার, গাইবান্ধা-৩ (পলাশবাড়ী-সাদুল্যাপুর)-এ ব্যারিস্টার দিলারা খন্দকার ও গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি)-এ অ্যাডভোকেট এইচ এম গোলাম শহীদ রঞ্জু।
বুধবার সন্ধ্যায় গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের রাজনৈতিক উপদেষ্টা ও প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার দিলারা খন্দকার শিল্পীর বাসভবনে ইফতারপূর্ব এক আলোচনায় অনানুষ্ঠানিকভাবে তাদের নাম ঘোষণা করেন তিনি। গাইবান্ধা-৪ (গোবিন্দগঞ্জ) আসনের প্রার্থীর নাম পরে ঘোষণা করা হবে বলে জানান তিনি।
পলাশবাড়ী উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি মো. রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ব্যারিস্টার দিলারা খন্দকার শিল্পী, দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক সংসদ সদস্য মো. আবদুর রশিদ সরকার প্রমুখ।
ক্ষমতাসীন দলকে সমালোচনা করে এরশাদ বলেন, আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা এখন শূন্যের কোঠায়। তাই জাতীয় পার্টির সমর্থন ছাড়া তাদের পক্ষে ক্ষমতায় যাওয়া সম্ভব নয়। অতীতের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বিশ্লেষণ করে দেশবাসী এখন জাতীয় পার্টিকে ক্ষমতায় দেখতে চায়। আওয়ামী লীগ প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে। তাই এবার জনসমর্থনে বলীয়ান জাতীয় পার্টি আগে জানতে চায়, তারা কী পাবে, তার পর নির্বাচনে যাওয়ার চিন্তা।
তিনি বলেন, ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, তাদের নেতৃত্বাধীন জোটে থাকতে রাজি হলে যা চান তাই পাবেন; কিন্তু তারা কথা রাখেননি। একইভাবে আওয়ামী লীগও দলের সাবেক সেক্রেটারি আনোয়ার হোসেন মঞ্জুকে দিয়ে জাতীয় পার্টিকে ভেঙে দেয়। তারা কেউ কথা রাখেনি। বিএনপি প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে এখন নিজেরাই ছিন্নভিন্ন।
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘রাজনীতিতে সরলতার কোনো দাম নেই, কাউকে বিশ্বাস করতে নেই। এবার আমরা কমপক্ষে ১০০ আসনে জয়লাভ করব। ৬০টি আসনে জিতলেও আওয়ামী লীগ-বিএনপিকে আমাদের কাছেই আসতে হবে। আমরা দুর্বল নই, আগের চেয়ে অনেক শক্তিশালী।’