বাংলাদেশকে এগিয়ে নিচ্ছেন তামিম-মুশফিক
---
স্পোর্টস ডেস্ক : অাইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ভারতের বিপক্ষে টসে হেরে ব্যাট করছে বাংলাদেশ। ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই ভুবনেশ্বর কুমারের বলে বোল্ড হয়ে ফিরে গেছেন ওপেনার সৌম্য সরকার (০)। এরপর তামিম ইকবাল ও সাব্বির রহমান ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। কিন্তু ইনিংসের সপ্তম ওভারের পঞ্চব বলে ভুবনেশ্বর কুমারের বলে রবীন্দ্র জাদেজার হাতে ধরা পড়েন সাব্বির। তবে তামিম ও মুশফিকুর রহিম দলের হাল ধরেছেন। ১৮.১ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ২ উইকেট হারিয়ে ৯৮ রান।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) বাংলাদেশ সময় সাড়ে তিনটায় এজবাস্টনে মুখোমুখি হয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ভারত ও বাংলাদেশ।
এই ম্যাচ জিতলেই প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ আইসিসির কোনো আসরের ফাইনাল খেলার গৌরব অর্জন করবে।
ইতোমধ্যে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে প্রথম দল হিসেবে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে পাকিস্তান। তবে বৃহস্পতিবারের ম্যাচে বাংলাদেশ কী পারবে পাকিস্তানের সঙ্গী হতে? এমন প্রশ্ন প্রত্যেক বাংলাদেশির মনে।
গ্রুপপর্বের ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে বাংলাদেশ যেভাবে হারিয়েছে, সেটা দেখে সতর্ক ভারত। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত জয় পেতে হলে এই ম্যাচে টাইগার বোলারদের জ্বলে উঠতে হবে। কারণ, ভারতের ব্যাটিং লাইন যখেষ্টই শক্তিশালী।
২০১৫ সালের বিশ্বকাপের পর থেকে ভারতের তুলনায় মুখোমুখি লড়াইয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে রয়েছে। এ ছাড়া এই সময়ের মধ্যে দুটি দলই ১১টি করে ম্যাচ জিতেছে। তবে এই সময়ে ভারত ১৩টি আর বাংলাদেশ ১০টি ম্যাচে হেরেছে।
ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে বুধবার ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি বলেছেন, ‘বাংলাদেশ সত্যিকার অর্থেই তাদের ক্রিকেটে দারুণ উন্নতি করেছে। বেশ কয়েকজন আছেন যারা দায়িত্ব নিয়ে খেলছেন। তাদের সেমিফাইনালে ওঠা বিস্ময়কর কিছু নয়। নিজেদের দিনে বাংলাদেশ ভয়ঙ্কর, সেটি সবারই জানা।’
ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ দলনেতা মাশরাফি মর্তুজা বলেন, ‘আমরা জানি, নিজেদের দিনে আমরা যে কোনো কিছুই করতে পারি।’
বাংলাদেশ দল
তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, সাব্বির রহমান, মুশফিকুর রহীম, সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মোসাদ্দেক হোসেন, তাসকিন আহমেদ, মাশরাফি মর্তুজা (অধিনায়ক), রুবেল হোসেন ও মোস্তাফিজুর রহমান।
ভারতীয় দল
রোহিত শর্মা, শিখর ধাওয়ান, বিরাট কোহলি (অধিনায়ক), যুবরাজ সিং, মহেন্দ্র সিং ধোনি, কেদার যাদব, হার্দিক পাণ্ডে, বরীন্দ্র জাদেজা, ভুবনেশ্বর কুমার, রবীচন্দন অশ্বিন ও জসপ্রিত বুমরা।