বৃহস্পতিবার, ১৫ই জুন, ২০১৭ ইং ১লা আষাঢ়, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতেও এশীয় রাজত্ব

AmaderBrahmanbaria.COM
জুন ১৩, ২০১৭
news-image

---

স্পোর্টস ডেস্ক : ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড বা দক্ষিণ আফ্রিকা যেভাবে এগোচ্ছে, এশিয়ার ক্রিকেট দলগুলো চলছে ঠিক তার উল্টো পথে। সন্ত্রাসবাদের কালো ছায়ায় পাকিস্তানে কয়েক বছর ধরেই নেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। উঠে আসছে না নতুন প্রতিভা। ভালো নেই শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলও। সাঙ্গাকারা-মাহেলা জয়াবর্ধনে-মুরালিধরন-পরবর্তী যুগে তেমন কোনো প্রতিভা পায়নি দেশটি। রাজত্ব কায়েমের চেষ্টায় বাকি দেশগুলো থেকে ভারত প্রায় একঘরে। সঠিক পথে রয়েছে কেবল বাংলাদেশ। কয়েক বছর ধরে দারুণ খেলছেন মাশরাফি-মুশফিকরা।

একটা সময় ক্রিকেট রাজত্ব করত এশিয়া। এই শতকের প্রথম যুগটা ক্রিকেটে দাপট দেখিয়েছে এশিয়ার দলগুলো। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম দুটি আসরই ছিল এশিয়ানদের দখলে। প্রথমটিতে ফাইনালে খেলে ভারত-পাকিস্তান। পরের আসরে পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কা। পরের দুটি আসরে নাস্তানাবুদ হয় এশিয়ার দলগুলো। ২০১৪ সালে আবার ফাইনালে ওঠে এশিয়ার দুই দল। ৫০ ওভারের বিশ্বকাপেও বরাবরই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আসছে এশিয়ার তিন পরাশক্তি ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। ১৯৯২ সাল থেকে এ পর্যন্ত সাত আসরের পাঁচটিতেই ফাইনালে খেলেছে দলগুলো। চারবার অন্তত দুটি করে দল সেমিফাইনালে উঠেছে। ২০১১ সালে প্রথমবারের মতো এশিয়ার তিন দল সেরা চারের লড়াইয়ে নামে।

বাকি ছিল কেবল চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। ১৯৯৮ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত প্রথম আসরে ফাইনালে উঠতে পারেনি এশিয়ার কোনো দল। দ্বিতীয় আসরে ভারত ফাইনালে উঠলেও হেরে যায় নিউজিল্যান্ডের কাছে। ২০০২ সালে তৃতীয় আসরে ভারত-শ্রীলঙ্কা ফাইনালে খেলে। পরের তিন আসরে এ টুর্নামেন্টে কিছুই করতে পারেনি এশীয় দলগুলো। পর পর দুবার শিরোপা জেতে অস্ট্রেলিয়া, ২০০৪ সালে শিরোপা যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজে। ২০১৩ সালে ভারত শিরোপা জিতলেও পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা বলার মতো কিছু করতে পারেনি। আর বাংলাদেশ তো টুর্নামেন্টে খেলতেই পারেনি।

ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের পর এবার চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতেও নিজেদের আধিপত্য ধরে রেখেছে এশিয়ার দলগুলো। অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের মতো শক্তিশালী দলকে বিদায় করে সেরা চারে উঠেছে বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তান। দারুণ খেলেছে শ্রীলঙ্কাও। ভারত-পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা এক গ্রুপে পড়ায় শেষ পর্যন্ত লঙ্কানদের বিদায় নিতে হয়েছে। চারটি দলে দুটি গ্রুপে থাকলে অল এশিয়ান সেমিফাইনাল হলেও হতে পারত!

এশিয়ার দলগুলোর মধ্যে তরতর করে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ২০১৫ সালের ওয়ানডে সেবার কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছিল বাংলাদেশ। সাফল্যের ধারা বজায় রেখে এবার সেমিফাইনাল খেলছেন মাশরাফিরা। অদূর ভবিষ্যতে আইসিসি টুর্নামেন্টগুলোতে এশিয়ার চার দলকে সেমিফাইনালে দেখলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।

এমডি/মানিক