অর্থমন্ত্রীকে জেদ না ধরার আহ্বান সাংসদ মান্নানের
---
নিজস্ব প্রতিবেদক : ব্যাংক আমানতে আবগারি শুল্ক নিয়ে অর্থমন্ত্রীকে জেদ না ধরার আহ্বান জানিয়েছেন সরকারদলীয় সাংসদ আবদুল মান্নান। তিনি মানুষের দাবি অনুযায়ী বর্ধিত আবগারি শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি জানান।
আজ সোমবার জাতীয় সংসদে বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে আবদুল মান্নান এ দাবি জানান।
ব্যাংক আমানতে আবগারি শুল্ক প্রত্যাহার করা হবে না—অর্থমন্ত্রীর এই বক্তব্য উদ্ধৃত করে মন্ত্রীর উদ্দেশে মান্নান বলেন, এখানে জেদ ধরার বিষয় নেই। আওয়ামী লীগ মানুষের রাজনীতি করে। মানুষের চাওয়া-পাওয়াকে প্রাধান্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী কাজ করছেন। মানুষ এ শুল্ক চায় না। আওয়ামী লীগ ভোটের রাজনীতি করে—এটা মাথায় রাখা প্রয়োজন।
আবদুল মান্নান বলেন, অর্থমন্ত্রী বলেছেন, ব্যাংক আমানতে আবগারি শুল্ক আগেও ছিল। এবার তা বাড়ানো হয়েছে। প্রায় সব সাংসদ বর্ধিত আবগারি শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন। সংসদের বাইরেও এটা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। আগে যে আবগারি শুল্ক ছিল, তা সহনীয় ছিল। মানুষ মনে করছে, বর্ধিত শুল্ক প্রত্যাহার করা উচিত। এটি নিয়ে মানুষের মধ্যে সংশয় তৈরি হয়েছে। অনেকে ব্যাংকে খোঁজ নিচ্ছেন আসলে কত রাখলে কত ফেরত পাওয়া যাবে। বর্ধিত আবগারি শুল্ক প্রত্যাহার করে এই সংশয় দূর করতে হবে।
সরকারি দলের এই সাংসদ খাতভিত্তিক ভ্যাট বাস্তবায়ন, কৃষি গবেষণায় বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি জানান।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বক্তব্যের সমালোচনা করে মান্নান বলেন, ‘ওনার আপার চেম্বারে কোনো না কোনো সমস্যা হয়েছে। আট বছর ক্ষমতায় থাকতে না পেরে এ অবস্থা হয়েছে।’
সরকারদলীয় সাংসদ আ ফ ম রুহুল হক বলেন, শুধু অভিযোগের ভিত্তিতে চিকিৎসকদের হাতকড়া পরিয়ে নেওয়া গ্রহণযোগ্য নয়। এ নিয়ে বিশেষ চিন্তা করা প্রয়োজন। তিনি বিজ্ঞান খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি জানান।
সংরক্ষিত মহিলা আসনের সানজিদা খানম ই-কমার্স ও মেডিটেশন থেকে কর প্রত্যাহারের দাবি জানান।
বিরোধী দল জাতীয় পার্টির আবদুল মুনিম চৌধুরী বলেন, সাধারণ মানুষ মনে করে বাজেট মানে কর বৃদ্ধি, দাম বৃদ্ধি। এত ভ্যাট-ট্যাক্স আরোপের পরও প্রস্তাবিত বাজেটে জিডিপির ৫ শতাংশ ঘাটতি। তিনি শিশুখাদ্যের ওপর সম্পূরক শুল্ক না বাড়ানো, আমানতে আবগারি শুল্ক না বাড়ানো এবং সঞ্চয়পত্রে সুদের হার না কমানোর দাবি জানান। প্রথম আলো