বৃহস্পতিবার, ৮ই জুন, ২০১৭ ইং ২৫শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

দ্রুত বিচার আইনে সাজার মেয়াদ বাড়ছে

AmaderBrahmanbaria.COM
জুন ৫, ২০১৭

---

 

নিজস্ব প্রতিবেদক : আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধের ক্ষেত্রে দ্রুত বিচার আইনে সাজার মেয়াদ দুই বছর বাড়ানো হচ্ছে। এ সংক্রান্ত আইনের সংশোধনের প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে সরকার।

আইন অনুযায়ী এই অপরাধের জন্য সাজার মেয়াদ দুই থেকে সর্বোচ্চ পাঁচ বছর। এখন সেটি বাড়িয়ে সর্বোচ্চ সাত বছর করার প্রস্তাব অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা।

সোমবার সকালে জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে ‘আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) (সংশোধন) আইন- ২০১৭’ এর খসড়ায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়।

বৈঠক শেষে দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, এটা মূলত ২০০২ সালের আইন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব সাংবাদিকদের জানান, দ্রুত বিচার আইনের ৪(১) ধারা সংশোধন করে শাস্তির মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব মন্ত্রিসভা অনুমোদন করেছে। ওই ধারায় ‘আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ’ করলে এতদিন সর্বনিম্ন দুই বছর এবং সর্বোচ্চ পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের পাশাপাশি অর্থদণ্ডের বিধান ছিল।

সংশোধিত আইনের খসড়ায় ওই সাজার মেয়াদ বাড়িয়ে সর্বনিম্ন দুই বছর ও সর্বোচ্চ সাত বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

শফিউল আলম জানান, আইনে উল্লেখ করা নয়টি সুনির্দিষ্ট অপরাধকে আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ বলে গণ্য করা হবে। যেমন- চাঁদাবাজি, যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা; যানবাহনের ক্ষতিসাধন করা; স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বিনষ্ট করা; ছিনতাই, দস্যুতা, ত্রাস ও অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি; দরপত্র ক্রয়-বিক্রয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি; ভয়-ভীতি প্রদর্শন।

‘এসব গুরুতর অপরাধ দ্রুত বিচারের জন্য এই আইনটি করা হয়েছে’ বলেন তিনি। শাস্তি বাড়ানোর কারণ জানতে চাইলে সচিব বলেন, ‘অনেকগুলো ফোরাম থেকে প্রস্তাব এসেছে এই শাস্তি পর্যাপ্ত নয়। তারপরই স্টেক হোল্ডারদের সাথে আলাপ আলোচনা করে সবার মতামতে এটি করা হয়েছে। স্টেক হোল্ডাররা বলেছে শাস্তি বাড়ালে ভালো হয়। সাত বছরের কথাই সবাই মত দেন।’

নির্বাচনকে সামনে রেখে আইনের শাস্তি বাড়ানো হলো কি না জানতে চাইলে শফিউল আলম বলেন, ‘না না, এটা রুটিন ওয়ার্ক। নির্বাচনের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই।’

প্রসঙ্গত, ২০০২ সালে দ্রুত বিচার আইনটি প্রথম কার্যকর করা হয়। তখন বলা হয়েছিল ২ বছর পর্যন্ত এটি বলবৎ থাকবে। পরে বিভিন্ন সময় কার্যকারিতার মেয়াদ বাড়ানো হয়। ২০০৪, ২০০৬, ২০১২, সর্বশেষ ২০১৪ সালে এ আইনের কার্যকারিতার মেয়াদ বাড়ানো হয়।

২০১৪ সালে আইনটির কার্যকারিতার মেয়াদ একসঙ্গে পাঁচ বছর বাড়ানো হয়। ২০১৯ সালের ৭ এপ্রিল পর্যন্ত দ্রুত বিচার আইনটি কার্যকর থাকবে।

এ জাতীয় আরও খবর