‘রূপগঞ্জ আর দিয়াবাড়ির ঘটনায় মিল রয়েছে’
---
নিজস্ব প্রতিবেদক : গতবছর রাজধানীর দিয়াবাড়িতে যে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছিল তার সঙ্গে রূপগঞ্জের ঘটনার মিল আছে। দুটি স্থানে একই কৌশলে অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুকিয়ে রাখা হয়। একই চক্র এর পেছনে সক্রিয় থাকতে পারে।
শুক্রবার নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জে ৫ নম্বর সেক্টরে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) প্রধান মনিরুল ইসলাম।
মনিরুল বলেন, ‘রূপগঞ্জে উদ্ধার করা অস্ত্র ও গোলাবারুদ রাজধানীর দিয়াবাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া অস্ত্র ও গোলাবারুদের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এগুলো একইভাবে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। ধারণা করা হচ্ছে, এটি একই গ্রুপের কাজ। অস্ত্রগুলো দেখে মনে হচ্ছে- এগুলো সক্রিয়, সচল ও স্বয়ংক্রিয়। ধারণা করছি এগুলো দুই তিনমাস আগে এখানে রাখা হয়েছে।’
নারায়ণগঞ্জে অস্ত্র-গোলাবারুদ উদ্ধার
এ ঘটনায় জঙ্গিদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে কিনা, এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন আস্তানায় যেসব অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে তার সঙ্গে এই অস্ত্রের মিল নেই। তবুও আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।’
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত রূপগঞ্জে অভিযান চালিয়ে ৬২টি এসএমজি, ৫১টি ম্যাগাজিন, ৫টি পিস্তল, ২টি ওয়াকিটকি, ২টি রকেট লঞ্চার, ৫৪টি গ্রেনেড, বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ, বোমা তৈরির সরঞ্জাম, ডেটোনেটর ও গুলি উদ্ধার করা হয়। বিশেষভাবে মুড়িয়ে প্লাস্টিকের ব্যাগে ভরে দড়ি দিয়ে এসব অস্ত্র গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়েছিল।
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে উদ্ধার করা অস্ত্র-গোলাবারুদ
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) শহীদুল হক সাংবাদিকদের বলেন, ‘রূপগঞ্জ উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়নের বগলা গ্রামে শরিফুল ইসলাম নামের একজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ এসব অস্ত্রের তথ্য পায়। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী রূপগঞ্জ উপশহরের ৩ নম্বর সেক্টরের ব্লু সিটি এলাকায় মাটি খনন করে দুটি এসএমজি উদ্ধার করা হয়। পরে আরও জিজ্ঞাসাবাদে শরিফুল স্বীকার করে, উপশহরের ৫ নম্বর সেক্টরে আরও বিপুল অস্ত্র মজুদ রয়েছে।’
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে অস্ত্র উদ্ধার
আইজিপি বলেন, ‘বাংলাদেশকে নিয়ে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র চলছে। সেই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই কোনও অপরাধী চক্র এই বিপুল পরিমাণ অস্ত্র গোরাবারুদ এনে থাকতে পারে। এরই মধ্যে এক ব্যক্তি আমাদের হাতে গ্রেফতার হয়েছে। ওই ব্যক্তির তথ্যের ভিত্তিতে এসব অস্ত্র-গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। এই চক্রের হাতে আরও অস্ত্র-গোলাবারুদ আছে কিনা খুঁজে দেখা হচ্ছে। কারা কী কারণে কী উদ্দেশ্যে এই গোলাবারদু মজুদ করেছে, তা শিগগিরই জানা যাবে।’
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে জুনে রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়িতে একটি খাল থেকে ৯৭টি পিস্তল, ৪৯৪টি ম্যাগাজিন ও ১ হাজার ৬০টি গুলি উদ্ধার করেছিল পুলিশ। এসব অস্ত্রের গায়ে সিরিয়াল নম্বর, উৎপাদনকারী কোম্পানি বা দেশের নাম কিছুই লেখা ছিল না।
গো নিউজ২৪