বৃহস্পতিবার, ২২শে জুন, ২০১৭ ইং ৮ই আষাঢ়, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে গুরুত্ব পেয়েছে বাংলাদেশে ভাস্কর্য অপসারণ

AmaderBrahmanbaria.COM
মে ২৬, ২০১৭
news-image

---

বৃহস্পতিবার রাতে সুপ্রিম কোর্টের সামনে থেকে ভাস্কর্য অপসারণের খবরটি আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে খুব গুরুত্ব পেয়েছে। বিশ্বখ্যাত এসব গণমাধ্যমের মধ্যে রয়েছে, নিউইয়র্ক টাইমস, বিবিসি, ওয়াশিংটন পোস্ট, ডেইলি মেইল, এবিসি নিউজসহ ভারত ও পাকিস্তানের বিভিন্ন পত্রিকা।
‘ইসলামপন্থীদের হৈ চৈ-এর পর বাংলাদেশে গ্রীক দেবীর মূর্তি অপসারণ’ শিরোনামে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি বলেছে, বিচারের দেবী থেমিসের শাড়ি পরিহিত একটি ভাস্কর্য ইসলামপন্থী সংগঠনগুলোর প্রতিবাদে অপসারণ করা হয়েছে। ৬ মাস আগে এটি স্থাপন করা হয়েছিলো। ঢাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ করে ইসলামী সংগঠনগুলো এটি ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে বলে দাবি করেছিলো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের ওই দাবির সঙ্গে একাত্ম হন। তবে, ধর্ম নিরপেক্ষ সংগঠনগুলো এর প্রতিবাদ জানিয়েছে।
বাংলাদেশে সুপ্রিম কোর্টের সামনে থেকে নারী ভাস্কর্য অপসারণ শিরোনামে নিউইয়র্ক টাইমস লিখেছে, ইসলামি চরমপন্থী দলগুলোর চাপে বাংলাদেশ কতৃপক্ষ নীরবে এবং তাড়াহুড়ো করে ন্যায়বিচারের নিক্তি হাতে দাঁড়ানো একজন নারীর ভাস্কর্য সরিয়ে ফেলেছে। ভাস্কর্যটি দেশটির সুপ্রিমকোর্টের সামনে স্থাপন করা হয়েছিলো।
পত্রিকাটি হেফাজত ইসলামকে চট্টগ্রামভিত্তিক সংগঠন হিসেবে আখ্যায়িত করে ভাস্কর্য সরানোকে তাদের গুরুত্বপূর্ন বিজয় হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, হেফাজত শিল্প সংক্রান্ত পড়াশোনা বাতিলেরও দাবি করেছে। প্রায় পাঁচমাস আগে শিল্পী মইনুল হক ২২ হাজার ডলার সমমূল্যে ভাস্কর্যটি স্থাপন করেছিলেন।
এবিসি নিউজ শিরোনাম করেছে- ‘নারী বিচারকের ভাস্কর্য বাংলাদেশের আদালত প্রাঙ্গণ থেকে অপসারণ’। পত্রিকাটি স্থপতি মৃনাল হকের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, উগ্রপন্থীদের চাপের মুখে বাংলাদেশ সরকার সুপ্রিম কোর্টের প্রাঙ্গন থেকে নারী বিচারকের ভাস্কর্য অপসারণ করেছে। গত ডিসেম্বর থেকেই এটি একটি নিক্তি ধরে আদালত প্রঙ্গণে দাঁড়িয়েছিলো।
সংবাদ সংস্থা এপি’কে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে শিল্পী মৃনাল হক বলেছেন, ‘আমি খুব অসহায় বোধ করছি। এটা অবিচার, এমনটি ঠিক নয়। আমার মা মারা গেছে। ভাস্কর্যটির অপসারণ মায়ের মৃত্যুর মতোই আমাকে কষ্ট দিচ্ছে।’
ওয়াশিংটন পোস্ট দাবি করেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি হেফাজত ইসলামের সঙ্গে একটি সম্মেলনে বলেছেন, ভাস্কর্যটিকে তিনি পছন্দ করছেন না।
ডেইলি মেইল বলেছে, ইসলামি উগ্রপন্থীরা অপসারিত ভাস্কর্যটির শূন্যস্থানে একটি বৃহদাকারের কুরআন স্থাপনের দাবি করেছে।
এছাড়া এ প্রসঙ্গটি দ্য অস্ট্রেলিয়ান সহ ভারত এবং পাকিস্তানের গণমাধ্যমগুলো বেশ গুরুত্ব সহকারে ছেপেছে

 

আমাদের সময়.কম

এ জাতীয় আরও খবর