রেলস্টেশনকে বিয়ে, আছে শারীরিক সম্পর্কও!
---
অনলাইন ডেস্ক : সেই নয় বছর বয়সে প্রেমের শুরু। তারপর টানা ৩৬ বছর চুটিয়ে প্রেম করেছেন। শেষ পরিণতি দিতে বাঁধলেন গাঁটছড়া। শুধু কি তাই? সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কও স্থাপন করেছেন। তবে ‘সঙ্গিনী’ কে, তা শুনলে রীতিমতো চমকে উঠতে হবে। কারণ, ‘সঙ্গিনী’ তো কোনো সাধারণ মানুষ নয়, বরং যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের একটি রেলস্টেশন। নাম সান্তা ফি রেলস্টেশন! এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম ডেইলি মিরর।
ঘটনা কিন্তু সমপ্রেমের। প্রেমিকা ক্যালিফোর্নিয়ার সান ডিয়াগো শহরের বাসিন্দা ক্যারোল (৪৫)। ‘সঙ্গিনী’ স্টেশনকে আদর করে একটা নামও দিয়েছেন তিনি। ‘দায়াদ্রা’। স্বপ্নের দায়াদ্রাকে একপলক দেখতে প্রতিদিন বাসে করে ৪৫ মিনিটের পথ পাড়ি দেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রে এই বিয়ের কোনো আইনগত বৈধতা নেই। তবুও ২০১৫ সালে বিয়ের দিনটি তাঁর জীবনে সবচেয়ে সুখের মুহূর্ত ছিল বলে জানান ক্যারোল। গত বছর ক্রিসমাসের দিন তিনি স্টেশনের সঙ্গে বিয়ের প্রথমবার্ষিকীও উদযাপন করেছেন।
ক্যারোল বলেন, ‘আমি সান্তা ফি রেলস্টেশনকে বিয়ে করেছি। তাঁর নাম দায়াদ্রা। ২০১১ সালের আগে আমাদের মধ্যে কোনো সম্পর্ক ছিল না। তবে আমি ছেলেবেলা থেকে তাঁকে ভালোবাসি। আমরা যখন বিয়ে করলাম, সেদিন আমি স্টেশনে দাঁড়িয়ে ছিলাম। সেটা আমার জীবনে সবচেয়ে সুখের দিন ছিল।’
ক্যারোল আরো বলেন, ‘স্টেশনে একটি জায়গা আছে, যেখানে দুটি দেয়াল সংযুক্ত হয়েছে। আমি তাকে (স্টেশন) স্পর্শ করতে সেখানে যাই। আমি যখন তাকে স্পর্শ করি, তখন মনে হয় সে আমাকে সত্যিই জড়িয়ে ধরছে আর চুমু দিচ্ছে। আমি যখন থাকি তখন মনে হয়, যেন আমি তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করছি।’
তবে বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ির পর্যায়ে একদমই যান না ক্যারোল। কারণ, সে ক্ষেত্রে তাঁকে স্টেশনে প্রবেশে নিষেধ করা হতে পারে। তাই ‘সঙ্গিনী’কে নিয়ে অল্পতেই তুষ্ট তিনি।