দুই ম্যাচে ব্যাটিং তান্ডবের পর মুম্বাইয়ের সামনে ধুমরে মুচরে পরলো দিল্লির ব্যাটিং
---
স্পোর্টস ডেস্ক : পোলার্ড ও সিমন্সের ব্যাটে বড় স্কোর গড়ে মুম্বাইকিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের বিপক্ষে এক সপ্তাহ আগে ব্যাটিং লজ্জা পেয়েছিল দিল্লি ডেয়ারডেভিলস। আরেকবার ব্যাটিংয়ে দুঃসহ অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হলো তারা। আইপিএলের এক আসরে দুইবার নিজেদের সর্বনিম্ন দলীয় স্কোরের রেকর্ড ভাঙল দিল্লি। এবার মুম্বাই লজ্জা দিল তাদের। ১৪৬ রানের এ জয়ে সবার আগে প্লেঅফ নিশ্চিত করল মুম্বাই।
পাঞ্জাবের বিপক্ষে আগে ব্যাট করে মাত্র ৬৭ রানে অলআউট হয়েছিল দিল্লি। ১০ উইকেটে ওই ম্যাচ হারে পর সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ও গুজরাট লায়ন্সের বিপক্ষে দাপটে জিতেছিল তারা। কিন্তু তিন ম্যাচ পর জহির খানের ফেরার ম্যাচে বিধ্বস্ত হলো দিল্লির ব্যাটসম্যানরা। ৩ উইকেটে মুম্বাইয়ের ২১২ রানের জবাবে মাত্র ১৩.৪ ওভারে সব উইকেট হারায় তারা। স্কোরবোর্ডে সংগ্রহ মাত্র ৬৬। গত সপ্তাহে গড়া সর্বনিম্ন স্কোরকে ছাপিয়ে আইপিএলে নিজেদের বাজে স্কোরের নতুন রেকর্ড গড়ল দিল্লি।
দিল্লির ফিরোজ শাহ কোটলা স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করতে নামে মুম্বাই। দুই ক্যারিবীয় তারকা লেন্ডন সিমন্স ও কিয়েরন পোলার্ড ঝড় তোলেন। সিমন্সে ৬৬ রান এসেছে ৪৩ বলে, আর পোলার্ড ৬৩ রানে অপরাজিত ছিলেন ৩৫ বলে। দুজনেই ৫টি চার ও ৪টি ছয় মেরেছেন। শেষদিকে হার্দিক পান্ডের ১৪ বলে ২৯ রান দারুণ কাজে লেগেছিল।
জবাব দিতে নেমে শুরু থেকে বিপদে পড়ে দিল্লি। নিজের প্রথম ওভারে লাসিথ মালিঙ্গা তুলে নেন আইপিএলের মাইলফলক স্পর্শ করা উইকেট। শ্রেয়াস আয়ারকে সাজঘরে ফিরিয়ে টুর্নামেন্টের প্রথম বোলার হিসেবে ১৫০ উইকেট নেন মুম্বাইয়ের এ লঙ্কান পেসার। ২ ওভারে ৫ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন মালিঙ্গা। তার দারুণ এ অর্জনের ম্যাচে হরভজন সিং ও করন শর্মা ছিলেন সবচেয়ে উজ্জ্বল। তারা বল হাতে ৩টি করে উইকেট নেন।
দিল্লির সর্বোচ্চ ২১ রান করেন করুন নায়ার। এছাড়া কোরি এন্ডারসন ও প্যাট কামিন্স ১০ রান করে করেন।
এ জয়ে ১১ ম্যাচ শেষে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে সবার উপরে থাকল মুম্বাই। তাদের চেয়ে এক ম্যাচ বেশি খেলে ২ পয়েন্ট পেছনে থেকে দ্বিতীয় রাইজিং পুনে সুপারজায়ান্ট।