বৃহস্পতিবার, ৪ঠা মে, ২০১৭ ইং ২১শে বৈশাখ, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

কুমারীত্ব সম্পর্কে কিছু কথা…

AmaderBrahmanbaria.COM
মে ১, ২০১৭

 

লাইফস্টাইল ডেস্ক :শহুরে শিক্ষিত সমাজ সতীত্ব, কুমারীত্ব নিয়ে পড়ে না থাকলেও – গ্রামেগঞ্জে আজও নাকি ফুলশয্যার রাতে মেয়েদের কুমারীত্ব পরীক্ষা হয় সাদা চাদর পেতে। সমাজকে শিক্ষিত করে তোলার, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে তোলার দায় সব সরকারের। এদেশে, টেলিভিশনে রীতিমতো সরকারি বিজ্ঞাপন চালিয়ে বোঝাতে হয় বাড়িতে কেন শৌচাগার বানাবেন? আরও দুটো জিনিস সরকারকে করতে হবে। এবং সেটা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব।

এক – ছেলে বা মেয়ের জন্মের পিছনে মায়ের কোনও হাত নেই। আছে বাবার হাত।
দুই – ফুলশয্যার রাতে যৌনসঙ্গমে রক্তপাত না হওয়া মানেই মেয়ের কুমারীত্ব/সতীত্ব নেই, এ ধারণা ভুল।

এই ভুলটাই চলে আসছে যুগ যুগ ধরে। মানুষকে আজও শিক্ষিত করে তোলা যায়নি। এটা বোঝানোই হয়নি –

১ সব মেয়ের পরদা (বা Hymen) থাকে না (জন্ম থেকেই)।

২ অধিকাংশ মেয়ের পরদা (বা Hymen) ছোটোবেলাতেই নষ্ট হয়ে যায়। নাচ, দৌড়, খেলাধুলো, সাঁতার, সাইকেল চালানোর মতো শারীরিক লাফালাফির সময় সেটা নষ্ট হয়ে যায়।

৩ বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শারীরিক চাহিদা তৈরি হতে পারে (সেটাই স্বাভাবিক)। হস্তমৈথুনে পরদা (বা Hymen) নষ্ট হতে পারে। তার মানেই সে অসতী নয়।

৪ অতিরিক্ত রক্তস্রাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে পরদা (বা Hymen)।

৫ কিছু কিছু পরদা (বা Hymen) এমনও আছে, যা থেকে রক্তক্ষরণ হয়ই না।

৬ অনেকসময় প্রথম সঙ্গমেই পরদা (বা Hymen) ফাটে না।

মোদ্দা কথা, প্রথম সঙ্গমে পরদা (বা Hymen) না ফাটা, বা রক্তক্ষরণ না হওয়া মানেই সেই মেয়ে অসতী – এমনটা নয়। ফলে ‘অতিশিক্ষিত’ লোকজনের কাছে আবেদন – পরদা ফাটা – না ফাটার উপর মেয়েদের কুমারীত্ব বা সতীত্ব যাচাই করতে যাবেন না।