শি’র প্রশংসা, সেই সঙ্গে যুদ্ধের আভাস ট্রাম্পের
আন্তর্জাতিক ডেস্ক :উত্তর কোরিয়া সংকট মোকাবেলায় চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের প্রশংসা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওভাল অফিসে রয়টার্সকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, জিনপিং খুব ভালো মানুষ, নিজের দেশকে ভালোবাসেন।
উত্তর কোরিয়া সংকট সম্পর্কে ট্রাম্প বলেছেন, উত্তর কোরিয়াকে নিয়ে সৃষ্ট সমস্যার সমাধান তিনি কূটনৈতিকভাবেই করতে চান, তবে বিষয়টা বেশ জটিল ও অধিকতর সাংঘর্ষিক। পাশাপাশি উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে বড় ধরনের যুদ্ধের সম্ভাবনার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
এ সংকট মোকাবেলায় চীনের ভূমিকার বিষয়ে ট্রাম্প বলেন, জিনপিং অবশ্যই অশান্তি ও মানুষের মৃত্যু চান না। তিনি তার দেশকে এবং দেশের মানুষকে ভালোবাসেন। আমি জানি, তিনি কিছু করতে চান তবে সম্ভবত তিনি কিছু করতে পারবেন না।’
এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন ইতোমধ্যে চীনকে জানিয়েছেন, উত্তর কোরিয়া যদি আবার পারমাণবিক পরীক্ষা চালায় তবে দেশটির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।
বৃহস্পতিবার টিলারসন ফক্স নিউজকে জানান, চীন উত্তর কোরিয়াকে আরো পরীক্ষা চালানো থেকে বিরত থাকতে বলেছেন। তবে চীন কখন পিয়ংইয়ংকে এ বার্তা জানিয়েছে সে বিষয়ে কিছু বলেননি তিনি। এ বিষয়ে বেইজিংয়েরও পরিষ্কার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পরপরই উত্তর কোরিয়া ইস্যুতে চীনের দিকে আঙুল তুলেছিলেন ট্রাম্প। তিনি বলেছিলেন, সমস্যা সমাধানে চীন কিছুই করছে না। চীন কিছু না করলে যুক্তরাষ্ট্র একাই ব্যবস্থা নেবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তিনি। চলতি মাসের শুরুতেই ওয়াশিংটনে প্রথমবারের মতো ট্রাম্প-জিনপিং বৈঠক হয়। বৈঠকে উত্তর কোরিয়া ইস্যুতে আলোচনা করেন দুই নেতা।
উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং-উনের বিষয়ে বলতে গিয়ে ট্রাম্প বলেন, বাবার মৃত্যুর পর মাত্র ২৭ বছর বয়সে সে দায়িত্ব নিয়েছে। এত অল্প বয়সে এমন দায়িত্ব নেয়াটা মোটেই সহজ ছিল না। তবে এর জন্য কিমকে কোনো কৃতিত্ব দিচ্ছেন না তিনি।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি উত্তর কোরিয়ার পরমাণু পরীক্ষার হুমকি ঘিরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উত্তেজনা বিরাজ করছে। পিয়ংইয়ংয়ের পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্রের ওপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে দেশটি একের পর এক পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে।
এ প্রেক্ষিতে কোরীয় উপদ্বীপে রণতরী ও সাবমেরিন পাঠিয়েছেন ট্রাম্প। এছাড়া দক্ষিণ কোরিয়ায় ক্ষেপণাস্ত্র-বিধ্বংসী থাড স্থাপনের কাজও এগিয়ে নিচ্ছেন। তবে পাল্টা হুঁশিয়ার করে উত্তর কোরিয়া বলেছে, তারা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত। তাদের ওপর হামলা হলে যুক্তরাষ্ট্রকে কড়া জবাব দেবে পিয়ংইয়ং। সূত্র: বিবিসি