শ্বশুরের সঙ্গে সম্পর্কে না, স্ত্রীকে তালাক দিলেন স্বামী
ভারতের তেলেঙ্গানা রাজ্যের রাজধানী হায়দরাবাদের ২৬ বছরের তরুণীর অপরাধ ছিল, শ্বশুরের সঙ্গে যৌন সম্পর্কে যেতে রাজি না হওয়া। আর এ ‘অপরাধে’ জন্মদিনের দিন তাঁকে তালাক দিয়েছেন প্রবাসী স্বামী।
বর্বর এই ঘটনা ঘটেছে হায়দরাবাদের বেগমপেট এলাকায়। গত শনিবার এক নারী পুলিশের কাছে স্বামীর বিরুদ্ধে অন্যায়ভাবে তালাকের অভিযোগ করেন। আর এ অভিযোগের তদন্তে গিয়ে পুলিশ জানতে পারে, শ্বশুরের সঙ্গে যৌন সম্পর্কে যেতে রাজি না হওয়ায় স্ত্রীকে তালাক দিয়েছেন স্বামী।
পুলিশের কাছে ওই নারী জানান, ২০১৫ সালে তাঁর সঙ্গে বেগমপেটের প্রবাসী ওয়েইজ তালেবের বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাঁকে শাশুড়ি ও সৎ শ্বশুরের কাছে রেখে সংযুক্ত আরব আমিরাত চলে যান স্বামী।
ওই নারী অভিযোগ করে বলেন, শাশুড়ি হিম্মত খাতুন তাঁকে প্রায়ই নির্যাতন করতেন। খেতে দিতেন না ঠিকমতো। এ ছাড়া সৎ শ্বশুর তাঁর ওপর যৌন নির্যাতনের চেষ্টা করেছেন। একপর্যায়ে শাশুড়ি ওই তরুণীকে বলেন, সৎ শ্বশুরের সঙ্গে যৌন সম্পর্কের মাধ্যমে তাঁর সন্তানের ‘সারোগেট মা’ হতে।
নির্যাতিত নারী জানান, এর পরপরই তিনি তাঁর স্বামী তালেবকে ঘটনাটি জানান। স্বামী বলেন, তাঁর মা যা বলেছে, তা করতে। কিন্তু রাজি না হওয়ায় তাঁর ওপর ক্রমাগত নির্যাতন চালান শাশুড়ি ও সৎ শ্বশুর।
একপর্যায়ে ওই নারীকে ছয় দিন ঘরে আটকে রেখে নির্যাতন চালানো হয়। তাতেও শ্বশুরের সঙ্গে সম্পর্কে যেতে রাজি না হওয়ায় গত ফেব্রুয়ারি মাসে তাঁকে বাড়ি থেকে বের করে দেন শাশুড়ি হিম্মত খাতুন।
এরপর ওই নারী নিজের বাড়িতে ফিরে গিয়ে স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ করে শ্বশুরবাড়িতে ফিরে যেতে চেষ্টা করেন। কিন্তু স্বামীর এককথা, মা যা বলেছেন, তা করো। কিন্তু এতে রাজি না হওয়ায় গত বুধবার ওই নারীকে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে তালাক দেন স্বামী তালেব।
ওই দিন ছিল ওই নারীর জন্মদিন। আর জন্মদিনের দিন স্বামী তালেব ‘তিন তালাক’-এর কথা উল্লেখ করে হোয়াটসঅ্যাপের মেসেজে লেখেন, ‘এটাই তোমার জন্মদিনের উপহার।’