g সোনু নিগমের বাড়িতে পুলিশ পাহারা | AmaderBrahmanbaria.Com – আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া

শনিবার, ২১শে অক্টোবর, ২০১৭ ইং ৬ই কার্তিক, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

সোনু নিগমের বাড়িতে পুলিশ পাহারা

AmaderBrahmanbaria.COM
এপ্রিল ১৯, ২০১৭

---

অনলাইন ডেস্ক : আজান নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার পর ভারতজুড়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে গায়ক সোনু নিগমকে নিয়ে। বিভিন্ন মহল থেকে জানানো হয়েছে ক্ষোভ। এক মৌলভি তো ঘোষণাই দিয়েছেন, তাঁর মাথা মুড়িয়ে পুরোনো ছেঁড়া জুতার মালা পরালে তিনি ১০ লাখ টাকা পুরস্কার দেবেন।

এর জের ধরে ভারতের মুম্বাই শহরের আন্ধেরি এলাকায় অবস্থিত সোনুর বাড়ি ‘নমো’-কে ঘিরে নেওয়া হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মুম্বাইয়ে সোনু নিগমের বাড়ির আশপাশে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

গত সোমবার টুইটারে সোনু লেখেন, ‘সৃষ্টিকর্তা সবার ভালো করুন। আমি মুসলিম না তাও আমাকে আজান শুনে ঘুম থেকে উঠতে হয়। ভারতে কবে এই জোর করে চাপিয়ে দেওয়া ধর্মভার শেষ হবে।’

আরেকটি পোস্টে সোনু লেখেন, ‘মুহাম্মদ (সা.) যখন ইসলাম তৈরি করেছিলেন তখন তো বিদ্যুৎ ছিল না। তাহলে এডিসনের পর থেকে কেন আমাদের এই কর্কশ শব্দ সহ্য করতে হবে?’

এরপর সোনু আবার টুইট করেন, ‘যে ওই ধর্মের অনুসারী না তাকে ঘুম থেকে জাগানোর জন্য আমি কোনো মন্দির বা গুরুদুয়ারায় বিদ্যুৎ ব্যবহারে বিশ্বাসী না।’

সোনু নিগমের ওই মন্তব্যের পরপরই ভারত জুড়ে ক্ষোভ ও সমালোচনা শুরু হয়। এর পরপরই আজানের পক্ষে নিজেদের অনুভূতির জানান বলিউডের কয়েকজন তারকা।

সোনুর টুইটের একদিন পর আরেক টুইটে বলিউডের আলোচিত নির্মাতা মহেশ ভাটের মেয়ে পূজা বলেন, ‘বান্দ্রার সুনসান গলিতে গির্জার ঘণ্টা ও আজান শুনে আমি প্রতি সকালে জেগে উঠি। আমি আগরবাতি জ্বালাই এবং ভারতের চেতনাকে স্যালুট করি।’

এর আগে এক টুইটে প্রিয়াঙ্কা লিখেছেন, ‘প্রতি সন্ধ্যায় আমি আজানের জন্য আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করি। কোনো দিনই আমি আজান না শুনে থাকতে পারি না। কারণ, আজানে আছে একটা স্বর্গীয় সৌন্দর্য।’

বলিউডের এই অভিনেত্রী আরো বলেন, ‘ভোপালে সবচেয়ে আনন্দের ক্ষণটা আমার কাছে ছিল আজানের সময়, যেটার জন্য আমি আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করি। সন্ধ্যায় আমি বারান্দায় বসি। কাজ শেষ হয়ে যায়। পুরো ভোপালে সব মসজিদ থেকে আজানের সুর আসে। আমার বারান্দায় বসে ছয়টি মসজিদ থেকে আজান শোনা যায়।’

‘ওই পাঁচ মিনিট আমার কাছে খুব ভালো লাগে। সূর্য ডুবতে থাকে। তখন আজানের সুর ভেসে আসে। তখন বেশ শান্তির একটা পরিবেশ তৈরি হয়। ওইটাই আমার দিনের সবচেয়ে প্রিয় সময়।’