শনিবার, ২৫শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ইং ১৩ই ফাল্গুন, ১৪২৩ বঙ্গাব্দ

বাঞ্ছারামপুরের বিএনপি নেতৃত্ব হাইব্রীড নেতাদের হাতে ! তৃণমূলে চরম অসন্তুোষ

AmaderBrahmanbaria.COM
ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৭

ফয়সল আহমেদ খান, বাঞ্ছারামপুর : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা বিএনপির নেতৃত্বে ঢাকা শহরে বসবাস করা হাইব্রীড নেতাদের হাতে।উপজেলার প্রথম সারির অনেক নেতাই এলাকায় থাকেনা। তাদের কমিটি গঠনে  একচাটিয়া প্রাধান্য,  দলীয় কোন্দল সৃষ্টি করা ,তৃণমূলের নের্তৃত্বের  সঠিক ভাবে খোজঁ খবর না নেওয়া, দলীয়  কর্মসূচী কর্মসূচীতে হাইব্রীড নেতাদের এলাকার না আসা,  আর এসব কারণে বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে উপজেলার বিএনপির রাজনীতি ।তাই বাঞ্ছারামপুর  উপজেলায় আগামী দিন কতটুকু মাঠে টিকে থাকবে তানিয়ে তৃণমুল নেতা-কমীদের চরম হতাশা সৃষ্টি হয়েছে। আর এজন্য মাঠ পর্যায়ের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের মাঝে বিরাজ করছে তীব্র অসন্তুষ আর ক্ষোভ।

বাঞ্ছারামপুর উপজেলা বিএনপির অনেক মাঠ পর্যায়ে  নেতা-কর্মীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে,২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর তৃণমূলে নেতৃত্বে ঘাটতি হয় দলটির।ঢাকায় অবস্থানরত উপজেলার দল পরিচালনার কর্ণধাররা  কিছুদিন পর পর একের পর এক নতুন কমিটি ঘোষনা করছে। এক-দুদিন পরে প্রিন্ট মিডিয়াতে তাদের হাইব্রীড কমিটির নাম দিয়ে প্রেসস্লিপ বের হচ্ছে। তৃণমূলের সঠিক মূল্যায়ন না করা কারণে অনেকেই দলবিমুখ হয়ে পড়ছেন। তাই হতাশ মাঠ পর্যায়ের দলীয়  সমর্থক ও নেতাকর্মীরা।
অভিযোগ রয়েছে,সভাপতি এম এ খালেক ও সাধারণ সম্পাদক ভিপি মান্নানের তৃণমূলের সাথে যোগাযোগ না রাখা, মাঠ পর্যায়ে কর্মীদের নতুন কমিটিতে তাদের নেতৃত্বের সুযোগ সৃষ্টি না করে দেওয়া, দলীয়  কর্মসূচীতে ঢাকায় বসে থাকা বড় বড় পদবী পাওয়া  হাইব্রীড নেতারা এলাকায় না থাকা,সাংগঠনিক  ব্যর্থতা ও অদূরদর্শী  মনোভাবের কারনে দলের এমন বেহাল দশা। জানা গেছে,২০০৯ সালে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা বিএনপি আহ্বায়ক কমিটিকে কেন্দ্র করে তৈরী হয় বিভিন্ন গ্রুপিং ,যা আজ ও বিদ্যমান। ২০১২ সালে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার কাউন্সিলের মতামতকে অগ্রাহ্য করে জেলা কমিটি বাঞ্ছারামপুর উপজেলা কমিটি করে। তাতে অনেক আর্থিক লেনদেন হয় বলে অভিযোগ উঠে।কর্মীদের ধারনা,আর সেখান থেকেই দলের ধ্বংসের শুরু। সাবেক এমপি এমএ খালেক জানান,বাঞ্ছারামপুর বিএনপি ঠিকঠাক মতো চলছে।গ্রুপিং  নেতাদের অভিযোগ ঠিক নয়। কমিটি পরিবর্তন করার দরকার হলে পরিবর্তন করি,তবে সেটা দলীয় নেতাকর্মীদের মতামত নিয়েই।ক্ষমতাসীনদের বিভিন্ন বাধার কারনে দলীয় কর্মসূচী না দিতে পারার অভিযোগ করেন তিনি।তিনি বলেন,কর্মসূচী ঘোষনা করলেই সরকারি দলীয় ক্যাডার ও পুলিশবাহিনী দিয়ে আমাদের মামলা-হামলা দেয়ার কারনে বহুসংখ্যক নেতাকর্মী দীর্ঘদিন ধরে এলাকা ছাড়া।