বৃহস্পতিবার, ২৩শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ইং ১১ই ফাল্গুন, ১৪২৩ বঙ্গাব্দ

নাসিরনগরে সরিষাখেতে মধুচাষ করে অনেকে বেশ স্বাবলম্ভী

AmaderBrahmanbaria.COM
ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৭

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে সরিষাখেতে আধুনিক পদ্ধতিতে মধুচাষ শুরু হয়েছে। সবুজ-শ্যামল মাঠে হলুদ বর্ণের সরিষা ফুল আর মৌমাছির গুঞ্জনে মুখরিত হয়ে ওঠছে উপজেলার ফান্দাউক ইউনিয়নের আতকুড়া গ্রাম।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রশিক্ষণ ছাড়াই মধুচাষ শুরু করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরশহরের কলেজপাড়া মহল্লার রিমন রহমান। ইন্টারনেটের সাহায্য নিয়ে তিনি মধুচাষের কৌশল রপ্ত করেছেন। বিদায়ী বছরে সেপ্টেম্বর মাসে গাজীপুর থেকে রাণী মৌমাছি এনে নাসিরনগরের কুণ্ডা ইউনিয়নের কুণ্ডা গ্রামের সরিষাখেতে পরীক্ষামূলকভাবে মধুচাষ শুরু করেন। এরপর রিমন ফান্দাউক ইউনিয়নের আতকুড়া গ্রামেও শুরু করেন মধুচাষ। সরিষা ফুল থেকে নভেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত মধু আহরণ করা যায়।
মধু আহরণের জন্য সরিষাখেতের চারপাশে বক্স সাজিয়ে রাখা হয়েছে। প্রতিটি বক্স থেকে সাপ্তাহে তিন থেকে পাঁচ কেজি পর্যন্ত মধু আহরণ করা হয়। প্রতি কেজি মধু বিক্রি হয় ৫০০ টাকা দরে। রিমনের এ মধু যেমন স্থানীয়দের চাহিদা মেটাচ্ছে তেমনি স্থানীয়রা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মধু পাঠাচ্ছেন তাদের প্রিয়জনদের কাছে। মধুচাষি রিমন রহমান বলেন, মধুচাষের জন্য আমি কোনো ধরণের প্রশিক্ষণ নেইনি, শুধু ইন্টারনেটের সাহায্যে কিছু কৌশল শিখে সে অনুযায়ী কাজ শুরু করি। নাসিরনগরে সরিষার আবাদ বেশি হওয়ায় আমি প্রথমে কুণ্ডা ইউনিয়নের কুণ্ডা গ্রাম ও পরবর্তী ফান্দাউক ইউনিয়নে আতকুড়া গ্রামে মধুচাষ শুরু করি। আমার সঙ্গে এখন আরও দুজন সহযোগী রয়েছে। মধুচাষের মাধ্যমে বেকার সমস্যা দূর করে আমরা অনেকটাই স্বাবলম্বী হয়েছি।
এ ব্যাপারে নাসিরনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আনিছুর রহমান বলেন, চলতি মৌসুমে ফান্দাউক ইউনিয়নে ১২শ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ করা হয়েছে। মূলত আমরা মধুচাষিদের প্রশাসনিক সহায়তা দিচ্ছি। কৃষকদের আমরা বুঝিয়ে বলেছি যে, খেতে মৌমাছি থাকলে ফসলের কোনো ক্ষতি হবে না।
তিনি আরও জানান, মধুচাষিরা সরিষার পাশাপাশি ধনিয়া ও কালিজিরার ফুল থেকেও মধু সংগ্রহ করছেন। চলতি মৌসুমে মধুচাষিরা পাঁচ লাখ টাকা আয় করতে পারবেন বলে ধারণা করা হয়।