বাঞ্ছারামপুরে এশিয়ার বৃহত্তম ওয়াই সেতু উদ্ধোধনের অপেক্ষায় ৩ উপজেলাবাসী
---
ফয়সল আহমেদ খান.বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) থেকে : ব্রীজটি দেখতে অনেকটা ওয়াই আকৃতির।তাই তার নামকরন করা হয়েছে ওয়াই সেতু।এমন সেতু এশিয়ায় বহু থাকলেও বাঞ্ছারামপুওে উদ্ধোধনীতব্য ওয়াই সেতু দৈর্ঘ,প্রস্থ,আধুনিক নির্মানশৈলী,মোট ব্যায় (১শ’১২কোটি টাকা প্রায়) সব মিলিয়ে এশিয়ায় এমন ২য়টি আর নেই। তিতাস নদীর ত্রিমোহনায় নির্মাণাধীন এই সেতুটি হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের প্রথম ওয়াই সেতু।এজন্য, এশিয়ার সর্ববৃহত ওয়াই সেতু হিসেবে দাবী করছেন প্রকৌশলীরা।
সেতুটির নির্মাণ কাজ চলতি বছরে ৯৮ ভাগ শেষ হয়েছে বলে জানান এলজিইডি’র প্রধান প্রকৌশলী ওয়াহেদুর রহমান এবং বাঞ্ছারামপুর উপজেলা প্রকৌশলী মো.খোরশেদ আলম। এখন চলছে কেবল সৌন্দর্য্য বৃদ্ধির কাজ। সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, ওয়াই আকৃতির এশিয়ার এই বৃহত সেতু উদ্ধোধনের অপেক্ষায় বাঞ্ছারামপুর,মুরাদনগর,হোমনা সহ ৩ উপজেলার বাসিন্দারা।বাঞ্ছারামপুরবাসীর দাবী,
“ ব্রিজটির রূপকার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ও স্থানীয় সংসদ সদস্য ক্যা.তাজ, সব রাজনৈতিক ও দেশ বরেণ্য ব্যাক্তিদের নিয়ে সেতুর উদ্বোধনী প্রধানমন্ত্রীকে দিয়ে করানো হোক।
দেখা গেছে ওয়াই সেতু পয়েন্টে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ভুরভুরিয়া ও চরলহনিয়াকে আলাদা করে রেখেছে তিতাস নদী। নদীটির একই পয়েন্টে এসে মিশেছে ঢোলভাঙ্গা নদী। খালটি চরলহনিয়া ও কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর বাজারকে বিভক্ত করেছে। ত্রিমোহনায় পারাপারের একমাত্র মাধ্যম ছিল নৌকা। তাই এখানে দু’টি ব্রিজ নির্মাণের দাবি এলাকাবাসীর প্রাণের দাবিতে পরিণত হয়েছিলো সেই ৭১ থেকে।
কিন্তু কোন সেতুটি আগে হবে এ নিয়েও ছিল একাবাসীর মধ্যে নানা রকম শঙ্কা। সবাই চাইছিলেন তাদের সেতুটিই আগে হোক। কিন্তু তাদের সেই শঙ্কা দূর করে একসঙ্গে ওয়াই সেতুর কাজ শুরু করায় এলাকাবাসীর মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ দেখা গেছে।
সেতুটির দৈর্ঘ্য ৭৭১ দশমিক ২০ মিটার, প্রস্থ ৮ দশমিক ১০মিটার। দৃষ্টিনন্দন এই সেতু নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছিল ৮৪ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। পরবির্তীতে তা ১ শত ১২ কোটিতে ঠেকে। সেতুটির পশ্চিম মাথা থাকছে ভূরভুরিয়া, পূর্বে চরলহরিয়া এবং দক্ষিণ-পূর্বে রামকৃষ্ণপুর বাজারকে সংযুক্ত করবে।
তিতাস নদীর এই ত্রিমোহনাটি এমনিতেই নান্দনিক। আবার দৃষ্টিনন্দন এই সেতুটির নির্মাণকাজ শেষে হলে এ অঞ্চলের বিনোদনের নতুন মাত্রা যুক্ত হবে বলে মনে করছেন এলাকাবাসী।
সেতুটির নির্মাণের কাজ শুরু করা হয় ২০১১ সালের ১৬ জুন। সেতুটি নির্মাণ করছে বাংলাদেশ ও চীনের জয়েন্টভেঞ্চার প্রতিষ্ঠান ডব্লিউএম সিজি-নাভানা জেভি।
সেতুতে পাইল হয়েছে ৩০২টি আর ২৫টি বেইজের। তিতাস নদীর ওপর এ সেতু নির্মিত হলে চট্টগ্রাম-ঢাকা মহাসড়কের বিকল্প পথ হিসেবেও ব্যবহৃত হবে বলে গত ১১ জানুয়ারী ব্রিজটির পরিদর্শন শেষে জানায়, স্থানীয় এমপি তাজুল ইসলাম। স্থানীয় ব্যাবসায়ী ও বাসিন্দারা জানান, ব্রিজটি চালু হলে পার্শবর্তী বাঞ্ছারামপুর, হোমনা, নবীনগর ও মুরাদনগর ব্যবসা যোগাযোগ সহ সার্বিক অর্থনৈতিক ইতিবাচক পরিবর্তন হবে।