মাটিচাপায় ৩ শ্রমিক নিহত
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার বিছানাকান্দি পাথর কোয়ারিতে পাথর উত্তোলনের সময় মাটিচাপায় তিন শ্রমিক নিহত হয়েছেন।
কোম্পানিগঞ্জে টিলা কেটে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনের সময় মাটিচাপায় ৫ শ্রমিকের মৃত্যুর ১৮ দিনের মাথায় আবার এ দুর্ঘটনা ঘটলো।
শুক্রবার ভোররাতে বিছানাকান্দি পাথর কোয়ারির বাদেপাশা খেয়াঘাট সংলগ্ন বাছিত মিয়ার মালিকানাধীন গর্ত থেকে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনের সময় মাটি চাপায় ওই তিন শ্রমিক নিহত হন।
তবে দুর্ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে রাতের আঁধারেই পাথরখেকোরা নিহতদের মরদেহ সরিয়ে ফেলেছেন বলে জানিয়েছেন গোয়াইনঘাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন।
স্থানীয়রা জানান, বিছানাকান্দি কোয়ারি থেকে রাতের আঁধারে গর্ত করে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন করে থাকে একটি প্রভাবশালী চক্র। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে পাথর উত্তোলনের সময় বাছিত মিয়ার মালিকানাধীন গর্তের মাটি ধসে পড়ে।
এসময় গর্তের মধ্যে থাকা তিন শ্রমিক মাটি চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন। তিন শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে গর্তের মালিক ও তার লোকজন রাতেই মরদেহগুলো সরিয়ে ফেলেন।
গোয়াইনঘাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন জানান, মাটি চাপায় শ্রমিক নিহতের খবর গর্তের মালিক পুলিশকে জানাননি। স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পাওয়ার পর তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। কিন্তু এর আগেই তিন শ্রমিকের মরদেহ সেখান থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
তিনি জানান, নিহতদের নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করে এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত ২৩ জানুয়ারি রাতের আধারে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে শাহ আরেফিন টিলা সংলগ্ন মতিয়াটিলা কেটে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনের সময় মাটি চাপায় ৫ শ্রমিকের মৃত্যু হয়। ওই ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশের ওসির সংশ্লিষ্টতা ছিল বলে জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের পৃথক তদন্তে উঠে এসেছে।