পুরুষালী’ পোষাক পরলে নারীদের সন্তান হয় না
অনলাইন ডেস্ক : পুরুষদের মত পোষাক পরলেই নারীরা সন্তান ধারণের ক্ষমতা হারায়’ এমনই দাবি করেছেন ভারতের মুম্বাইয়ের এক কলেজের অধ্যক্ষ। তার এমন মন্তব্যে স্বাভাবিকভাবেই অবাক কলেজের শিক্ষার্থীরা।
বর্তমানে প্রতি ৫ জন নারীর মধ্যে ১ জন পলিসিস্টিক ওভারি ডিসঅর্ডারের শিকার হন। চিকিৎসকদের মতে এই হরমোনের অসাম্যতা এবং জিনগত কারণেই এই রগের শিকার হন তারা। কিন্তু মুম্বাইয়ের সরকারি পলিটেকনিক কলেজের অধ্যক্ষা স্বাতী দেশপাণ্ডে অন্যরকম মনে করেন।
তিনি বলেছেন, ‘আমি শুনেছি কেন কম বয়সী নারীরা পলিসিস্তিক ওভারি ডিসঅর্ডারের শিকার হন। যখন তারা পুরুষদের মত পোষাক পরেন, তখন তারা পুরুষদের মতই ভাবতে ও আচরণ করতে শুরু করে দেন। তাদের মস্তিষ্কেও নারী লিঙ্গের সাধারণ কাজগুলো উলটে যায়। এই কারণেই কম বয়স থেকেই সন্তান জন্ম দেওয়ার ইচ্ছা কমতে থাকে। আর তারা এই ধরনের রোগে আক্রান্ত হন। ‘
জরায়ুর রোগের সঙ্গে পোশাকের এমন সম্পর্ক টেনে বের করে এখন এই অধ্যাপিকা কলেজের ছাত্রীদের জন্য ‘যোগ্য পোষাক’ তৈরির কথা ভাবছেন। স্বাতী দেশপাণ্ডে চান যে তার কলেজের ছাত্রীরা পরে আসুক ‘নারীসুলভ’ সালোয়ার কামিজ।
‘পুরুষালী’ জিন্স-টি শার্ট এর হাত থেকে ছাত্রীদের বাঁচাতেই এমন সিদ্ধান্ত তার! এতদিন কলেজে নারী ও পুরুষদের একই পোষাক ছিল- সাদা শার্ট ও কালো প্যান্ট।
কলেজের এক ছাত্রীর বলেন, ‘এর আগে কলেজ কর্তৃপক্ষ আমাদের প্যান্টে শার্টও গুঁজে পরতে বারণ করেছিল। আর এখনও তো পোষাকই বদলে দিতে চাইছে। আমরা এই সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করছি। ল্যাবের মধ্যে সালোয়ার কামিজ পরে ঢোকাটা খুব অস্বাভাবিক হবে। ‘
পোশাকেই শেষ নয়। এই কলেজের ক্যান্টিনে মারাঠি ভাষায় লিখে দেয়া আছে কোনটি পুরুষদের বসার জায়গা আর কোনটি নারীদের।