নবীনগরে খোলা আকাশের নিচে পাঠদান
---
নিজস্ব প্রতিবেদক : বিদ্যালয়টিতে শ্রেণী কক্ষের সমস্যায় দীর্ঘদিন যাবৎ খোলা আকাশের নিচে চলছে পাঠদান । নবীনগর পৌর এলাকার আলীয়াবাদ গ্রামে ১৯৩৯ সালে প্রতিষ্ঠিত প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১৯৯৫ সালে নবীনগর উপজেলায় একমাত্র মডেল স্কুল হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার পরও শ্রেণী কক্ষের সংকট কাটেনি। ৮শত ছাত্র-ছাত্রী থাকা সত্ত্বেও বিদ্যালয়টির রয়েছে মাত্র ২টি শ্রেণী কক্ষ। অর্ধেকেরও বেশী শিক্ষার্থী ক্লাস করছে টিনের ছাপরা,সিড়ি কোটায় ও খোলা আকাশের নিচে । নবীনগর পৌর এলাকার আলীয়াবাদ গ্রামে ১৯৩৯ সালে ১৮ শতক জমির উপর নবীনগর -কোম্পানীগঞ্জ সড়কের পাশে মরহুম আব্দুর রশিদ মাষ্টার সাহেব আলীয়াবাদ প্রাথমিক বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৯৫ সালে নবীনগর উপজেলায় মডেল স্কুল হিসেবে স্বীকৃতি পায় বিদ্যালয়টি। বর্তমানে প্রায় ৮ শত ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে।একটি একতলা বিশিষ্ট একাডেমিক ভবন কাম প্রশাসনিক ভবন থাকলেও শ্রেণী কক্ষের সমস্য নিত্যদিনের। অথচ এটি এই উপজেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলির মধ্যে একমাত্র মডেল বিদ্যালয়। শিশু শ্রেনী থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত প্রতিদিন এক সাথে ১১ টি ক্লাস হয়ে থাকে অথচ ক্লাস রুমে রয়েছে মাত্র ২টি। ৯টি ক্লাসই চলছে টিনের ছাপরা,সিড়ি কোটায় ও খোলা আকাশের নিচে । ফলে খোলামেলায় ক্লাস করতে গিয়ে রাস্তার ধুলাবালী,বৃষ্টির পানি পড়ে নষ্ট হচ্ছে শিক্ষার্থীদের বই-খাতা ও পোশাক।বর্তমানে শীত মৌসুমে ঠান্ডা জনিত রোগ সহ নানান রোগে আক্রান্ত হচ্ছে এমনটি জানিয়েছেন এই স্কুলের কোমলমতি শিক্ষার্থী ও শিক্ষকগন। বিদ্যালয়টি
আলীয়াবাদ মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম সবুজ বলেন, অর্ধেকেরও বেশী শিক্ষার্থী ক্লাস করছে টিনের ছাপরা,সিড়ি কোটায় ও খোলা আকাশের নিচে । ফলে খোলামেলায় ক্লাস করতে গিয়ে রাস্তার ধুলাবালী,বৃষ্টির পানি পড়ে নষ্ট হচ্ছে শিক্ষার্থীদের বই-খাতা ও পোশাক।বর্তমানে শীত মৌসুমে ঠান্ডা জনিত রোগ সহ নানান রোগে আক্রান্ত হচ্ছেস্কুলের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা । সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের কাছে দাবী জানান অচিরেই বিদ্যালয়ের নতুন ভবন করার ।