৪১টি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল হবে : আইনমন্ত্রী
---
নিজস্ব প্রতিবেদক : আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন সংক্রান্ত মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে সরকার সারাদেশে ৪১টি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল স্থাপন করবে।
রবিবার সংসদে সরকারি দলের সদস্য বেগম ওয়াসিকা আয়শা খানের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, সহায়ক কর্মচারীসহ এসব নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল স্থাপন করা হবে। এ সংক্রান্ত প্রস্তাবটি প্রধানমন্ত্রীর সম্মতির জন্য তাঁর কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।
আনিসুল হক বলেন, সারাদেশে ১১২টি অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত, ২১৪টি সহকারী জজ আদালত, ৩৪৬টি মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সহায়ক পদ এবং ১৯টি পরিবেশ আদালত ও ৬টি পরিবেশ আপিল আদালত স্থাপনের বিষয়টিও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আদালত এবং সহায়ক পদগুলো সৃজিত হলে মামলা নিষ্পত্তি উল্লেখযোগ্য হারে বাড়বে।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের বিগত ৭ বছরে (২০১৫ সাল পর্যন্ত) সব জেলা ও দায়রা জজ আদালত এবং সমপর্যায়ের ট্রাইব্যুনালে নিষ্পত্তিকৃত মোট দেওয়ানি মামলার সংখ্যা ১২ লাখ ১৮ হাজার ৩৬৩টি এবং ফৌজদারী মামলার সংখ্যা ১৩ লাখ ১১ হাজার ১৮৭টি। এছাড়া সব সিএমএম/সিজেএম আদালতে মোট ৪৮ লাখ ১২ হাজার ২৭৪টি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে।
আইনমন্ত্রী বলেন, ২০১৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশের সব আদালতে বিচারকগণ ১৩ লাখ ৩৩ হাজার ৩১৭টি মামলা নিষ্পত্তি করেছেন, যা বর্তমান সরকারের আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গৃহীত পদক্ষেপের একটি উলেখযোগ্য সাফল্য।
তিনি বলেন, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট ২৯৬ জন বিচারককে (অধস্তন আদালত), ৩২ জন আইনজীবীকে এবং ৭৭ জন আদালতের সহায়ক কর্মচারীসহ মোট ৪০৫ জনকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, সরকারি অর্থায়নে প্রায় ৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘অধস্তন আদালতে ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণে আইন ও বিচার বিভাগের সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ’ শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়নের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে ৫১৬ জন কর্মকর্তাকে বিদেশে এবং ১৫৮ জন কর্মকর্তাকে দেশে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।
জাতীয় পার্টির সদস্য পীর ফজলুর রহমানের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকার সারাদেশের জেলা জজ আদালতগুলোর উর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণের উদ্যোগ নিয়েছে।