বৃহস্পতিবার, ৮ই জুন, ২০১৭ ইং ২৫শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

রমজানে যেমন হবে রাতের খাবার

AmaderBrahmanbaria.COM
মে ৩১, ২০১৭
news-image

---

সিয়াম সাধনার মাস রমজান। এ মাসে সারাদিন রোজা রাখার পর মনে হয় যেন অনেক কিছু খেয়ে ফেলি। কিন্তু রোজার দিনে খাবারে পরিমিতিবোধ তৈরি করাই উত্তম।
আর তাই ইফতারের পর রাতের খাবারটা হওয়া উচিত কিছুটা হালকা ও সহজে হজম হয় এমন। সারাদিন রোজা রাখার পর হুট করে অনেককিছু একসঙ্গে খেয়ে ফেলা কিন্তু কখনোই উচিত হবে না। এতে হিতে বিপরীত হতে পারে। শরীরের জন্য হয়ে যেতে পারে ক্ষতির কারণ।
জেনে নিন রমজান মাসে রাতের খাবার কেমন হওয়া উচিত।
রাতের খাবারে ঢেঁকিছাঁটা লাল চালের ভাতের সঙ্গে সবজি থাকা চাই।
রাতের খাবারে লাউ, লাউশাক, মিষ্টি কুমড়া, শসা, পটল, ঝিঙে, কচুশাক ও কচু ইত্যাদির ঝোলে তরকারি, এক টুকরা মাছ অথবা এক টুকরা মাংস হতে পারে। দুধ-কলা স্বাস্থ্যসম্মত।
সব মাসের মতো সবজি ও ফল খেতে হবে নিয়মমতো। তা না হলে কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
খাদ্য তালিকায় সব ধরনের খাবার থাকতে হবে। যেমন আমিষ, শর্করা, ফ্যাট, ভিটামিন, দুধ, দই, মিনারেলস, ফাইবার ইত্যাদি।
ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার, যেমন লাল আটা, বাদাম, বিনস, শস্য, ছোলা, ডাল ইত্যাদি খেতে হবে। এগুলো হজম হয় আস্তে আস্তে, তাই অনেক সময় পর ক্ষুধা লাগে। রক্তে চিনির পরিমাণ তাড়াতাড়ি বাড়ে না।
চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিলে ভালো হয়। এটা খুব তাড়াতাড়ি রক্তে চিনির মাত্রা বাড়িয়ে দেয়, ওজন বাড়ায়। তাই যথাসম্ভব চিনি ও চিনিযুক্ত খাবার কম খান।
প্রতিবেলা মাংস না খেয়ে অন্তত একবেলা মাছ খেতে চেষ্টা করুন।
ওজন কমাতে চাইলে শর্করা কম খেতে হবে। আমিষ ও সবজি দিয়ে পেট ভরাতে হবে।
রোজার সময় পর্যাপ্ত পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট না গ্রহণ করলে এর অভাবে শরীরে কিটোন উৎপন্ন হবে। তাই এ সময় কার্বোহাইড্রেটজাতীয় খাবার খান। যেমন কলা, ওটস, রুটি ইত্যাদি।
রাতের খাবারে তাজা ফলের পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে সবজি খান। এগুলো সারাদিন আপনার নিঃশ্বাসকে সতেজ রাখতে সাহায্য করবে।
রোজার দিনগুলোতে কোমল পানীয় খাওয়া কখনোই ঠিক হবে না। কারণ কোমল পানীয় খেলে ঘুমের সমস্যা, অ্যাসিডিটি, আলসার ইত্যাদি দেখা দিতে পারে।
ইফতারের পর থেকে ঘুমাতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত পানি খাবেন একটু পরপর।

এ জাতীয় আরও খবর