নাসিরনগরে রসরাজ ও আহাদের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন
নিজস্ব প্রতিনিধি : ব্রাক্ষণবাড়িয়ার নাসিরনগরে কথিত ধর্ম অবমাননাকারী যুবক রসরাজ দাস ও একই ঘটনার হামলায় জড়িত সন্দেহে গ্রেফতারকৃত উপজেলা ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ আব্দুল আহাদের মুক্তির দাবি জানান নাসিরনগর নাগরিক ঐক্য পরিষদ। শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে সংগঠনের পক্ষ থেকে এ-দাবি জানানো হয়। সংগঠনের দাবির সাথে সংহতি প্রকাশ করতে এসে বাংলাদেশ অনলাইন অ্যাক্টিভিষ্ট ফোরাম (বোয়াফ) সভাপতি কবীর চৌধুরী তন্ময় বলেন, ২০১২ সালে রামুতে শিবিরের একটি ছেলে যেভাবে উত্তম বড়ুয়ার ফেইসবুকে ছবি আপলোড করে ছড়িয়ে দিয়েছিল, ঠিক তেমনিভাবে রসরাজ দাসের ফেসবুকেও একটা পুরনো ছবি ছড়িয়ে দিয়ে নাসিরনগরের সাম্প্রদায়িক হামলা সৃষ্টি করেছিল। অপরাধ না করেও আজ কারাগারে আছে খেটে খাওয়া সাধারণ রসরাজ দাস। তিনি আরো ও বলেন, অন্যদিকে পরিকল্পিতভাবে ধর্মীয় দাঙ্গা সৃষ্টি করার জন্যে যারা সমাবেশ থেকে উসকানিমুলক বক্তব্য-বিবৃতি দিয়ে সাধারণ মানুষকে উসকে দিয়েছিল, তাদের গ্রেফতার না করে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ আব্দুল আহাদকে অপরাধী করার একটা ষড়যন্ত্র চলছে। আওয়ামী লীগ ও সরকারের ভাবমূর্তী নষ্ট করার জন্য কতিপয় ষড়যন্ত্রকারী ওঠে পড়ে লেগেছে।
যে মোবাইল ফোন থেকে রসরাজ ফেসবুক ব্যবহার করতো তা থেকে স্পর্শকাতর ঐ ছবিটি আপলোড হয়নি বলে তারা প্রমাণ পেয়েছেন- পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি শাখাওয়াত হোসেন সাহেবের এই কথায় প্রতীয়মান, রসরাজ দাস ষড়যন্ত্রের শিকার তার জামিন নাগরিক অধিকার এবং সেই সাথে সাম্প্রদায়িক হামলার মুল হোতাকে চিহ্নিত করে গ্রেফতার করা ও ষড়যন্ত্রের শিকার উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শেখ আব্দুল আহাদের মুক্তি দিতে হবে বলে মন্তব্য করেন কবীর চৌধুরী তন্ময়।
বাংলাদেশ তারক ব্রম্ম মহানাম পরিষদ ও নাসিরনগর ও গৌর মন্দির এবং সংগঠনের সভাপতি সুদীর চন্দ্র বর্ধন-এর সভাপতিত্বে এ-সময় অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন, আব্দুল আহাদের স্ত্রী রাবেয়া সুলতানা লাভলী, নাসিরনগর যুবলীগের সভাপতি জহর লাল রিসি, ঢাকাস্থ নাসিরনগর ছাত্রকল্যান সমিতির সভাপতি সেলিম আম্মেদ খান, কাজী আরেফ ফাউন্ডেশনের সভাপতি কাজী মাসুদ আহমেদ প্রমুখ।