মঙ্গলবার সকালে তিনি উপজেলার কাশিপাড়া, দাশপাড়াসহ বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন। পরে নাসিরনগর প্রেসক্লাবে উপজেলার হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্যপরিষদের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
রাষ্ট্রদূত ফ্রিজেল বলেন, নাসিরনগরের হামলার ঘটনা থেকে সবাইকে শিক্ষা নিতে হবে, ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে। তিনি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।
হামলার ঘটনার পর সরকারের ভূমিকার প্রশংসা করে রাষ্ট্রদূত বলেন, সরকার ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চেষ্টায় এ ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। এর ফলে বাংলাদেশের অন্যান্য স্থানে এ ধরনের ঘটনা আর ঘটেনি। মতবিনিময় সভায় ঐক্যপরিষদের সভাপতি আদেশ কুমার দেব, সাধারণ সম্পাদক সুজিত কুমার চক্রবর্তী উপস্থিত ছিলেন।
গত বছর ৩০ অক্টোবর ফেইসবুকে ‘ইসলাম অবমাননার’ ছবি পোস্ট করার অভিযোগ তুলে নাসিরনগরে ১৫টি মন্দিরসহ হিন্দুদের শতাধিক ঘরে ভাংচুর ও লুটপাট চালানো হয়। হামলার ঘটনায় স্থানীয় বারোয়ারি মন্দিরের পুরোহিতসহ দুই ব্যক্তি দুটি মামলা দায়ের করেন। প্রত্যেক মামলায় অজ্ঞাতনামা ১০০০ থেকে ১২০০ জনকে আসামি করা হয়।
হামলায় হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান আঁখির সম্পৃক্ততার বিষয়টি উঠে আসে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের অনুসন্ধানে। প্রধান সন্দেহভাজন আখিঁর খোঁজ পায়নি পুলিশ এখনও।
হরিপুর ইউনিয়ন থেকে ১৪-১৫টি ট্রাক ভরে মানুষ আসার পর হিন্দুপল্লীতে হামলা হয়। যেসব ট্রাকে হামলাকারীরা এসেছিল সেগুলোর ব্যবস্থা ও অর্থের যোগান চেয়ারম্যান আঁখি দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ ঘটনায় পুলিশ শতাধিক ব্যক্তিকে আটক করেছে। সর্বশেষ ২ ডিসেম্বর আখিঁর ব্যক্তিগত সহকারী উত্তম কুমার দাস (২৫) ও ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মনোরঞ্জন দেবনাথকে (৪০) আটক করে পুলিশ।