জিৎ প্রথম, শাকিব দ্বিতীয়
বিনোদন প্রতিবেদক : ২০১৬ সাল ছিল যৌথ প্রযোজনার চলচ্চিত্রের বছর। এসব ছবিতে হয় নায়ক ছিল বাংলাদেশের, নায়িকা ওপার বাংলার কিংবা উল্টো। তবে সকলের আগ্রহ ছিল নায়কের দিকেই। বাংলাদেশের তারকা শাকিব খান আর ভারতের নায়ক জিৎ—এ দুজনের প্রতিই বাংলাদেশের মানুষ বেশি আগ্রহ দেখিয়েছে। শাকিব অভিনয় করেছিলেন ‘শিকারি’ ছবিতে, তাঁর বিপরীতে ছিলেন শ্রাবন্তী। আর জিৎ অভিনয় করেছিলেন ‘বাদশা’ ছবিতে, সেখানে নায়িকা ছিলেন নুসরাত ফারিয়া। এ দুটি ছবির মধ্যে ভালো ব্যবসা করেছে ‘বাদশা’, এরপর ‘শিকারি’। এমন তথ্য জানা যায় জাজ মাল্টিমিডিয়ার নিজস্ব জরিপ থেকে। আড়াইশ সিনেমা হলে নিজেদের ব্যবস্থাপনায় প্রজেক্টর ও অধিকাংশ যৌথ প্রযোজনার ছবির সঙ্গে জাজ মাল্টিমিডিয়া যুক্ত থাকায় এই জরিপ তাঁরা চালাতে পেরেছেন।
ফেসবুকে জাজের অফিশিয়াল পেজে প্রকাশ করা হয় :
“আপনারা জানেন, প্রতিটা সিনেমা হলের প্রতি শো-এর সেলের হিসাব সবার আগে আসে জাজ-এর কাছে। সেই আলোকে ২০১৬ সালের ১০০% সঠিক তথ্য তুলে ধরছি সবার জন্য। এই তথ্য শুধু বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সিনেমা হলের সেলের ওপর ভিত্তি করে, এখানে কোনো সিনেমার বহির্বিশ্বের সেল যোগ করা হয় নাই। বক্স-অফিসের সেল অনুযায়ী ক্রমান্বয়ে সিনেমার নাম দেওয়া হলো :
১। বাদশা (জিৎ, ফারিয়া)
২। শিকারি (শাকিব, শ্রাবন্তী)
৩। আয়নাবাজি (চঞ্চল, নাবিলা) ‘পাইরেসি না হলে হয়তো সিনেমাটা ১ নাম্বারে চলে যেত’
৪। বসগিরি (শাকিব, বুবলি)
৫। নিয়তি (শুভ, জলি)
৬। রক্ত (রোশান, পরি মণি)
এখানে লক্ষ করা যাচ্ছে ছয়টি সিনেমার মধ্যে পাঁচটি সিনেমাই জাজের সিনেমা। সেই হিসাবে, জাজ একটি সফল বছর পার করেছে। জাজ তাঁর পরিকল্পনা অনুযায়ী এগিয়ে যাচ্ছে।”
জাজের পেজে দুঃখ প্রকাশ করে বলা হয়, কোরবানির ঈদের পর আর কোনো ছবি ব্যবসা করতে পারেনি। যদিও ঈদের অনেক পর রিলিজ হয়েছে ‘আয়নাবাজি’। পেজে লেখা হয়েছে :
“কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে বছরের শেষ দিকে এসে, চলচ্চিত্র আবার মুখ থুবড়ে পড়েছে। কোরবানি ঈদের পর থেকে কোনো সিনেমাই ৪০ লক্ষ টাকার বেশি ব্যবসা করতে পারে নাই। আর বেশিরভাগ সিনেমা তাদের পোস্টার পাবলিসিটি ও রিলিজের খরচই তুলতে পারে নাই।”
এদিকে, শাকিব খানের ‘শিকারি’ ছবিটি ব্যবসায়িকভাবে জিতের ‘বাদশা’ থেকে কতটা পিছিয়ে আছে—জানতে চাইলে জাজ মাল্টিমিডিয়ার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আলিমুল্লাহ খোকন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, “আসলে পার্থক্য খুবই সামান্য। দুটি ছবিই আসলে কাছাকাছি ব্যবসা করেছে। শিকারি ছবি থেকে কিছুটা হলেও এগিয়ে আছে ‘বাদশা’।”