‘প্রতিটি পাকিস্তানী ভারতের সাথে শান্তি চায়’
আন্তর্জাতিক ডেস্ক :পাকিস্তানের ক্রিকেট আইকন এবং তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টির নেতা ইমরান খান বলেছেন যে তাঁর দেশের প্রতিটি মানুষ ভারতের সাথে শান্তি চায়।খালিজ টাইমস পত্রিকার সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে ইমরান খান একথা বলেন।
রাজধানী ইসলামাবাদের অদূরে পাহাড়শীর্ষে অবস্থিত বাসভবনে বসে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি গত বছর ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির সংর সাক্ষাতের স্মৃতিচারণ করে বলেন, দু’দেশের মধ্যে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠাকে উতসাহিত করার চাইতে পাকিস্তানকে একঘরে করে রাখার প্রতি তাঁর (মোদি) চেষ্টা দেখে আমি খানিকটা বিব্রত হয়েছি। অথচ আমরা সবাই অর্থাৎ প্রতিটি পাকিস্তানীই ভারতের সাথে শান্তি চায়। কেউ এর বিপরীত কিছু বললে তা হবে ভুল।
গত বছর সেপ্টেম্বরে কাশ্মীরের এক সেনাঘাঁটিতে সন্ত্রাসী হামলায় ১৯ জন ভারতীয় সৈন্য নিহত হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে পাক-ভারত সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে। ভারত বলছে, এই হামলার পেছনে পাকিস্তানে আশ্রিত সন্ত্রাসীরা জড়িত।
এ প্রসঙ্গে ইমরান খান বলেন, ভালো নেতার গুণ হল সন্ত্রাসী হামলা হলেও তিনি বৈরিতার পথ অবলম্বনের চাপ পরিহার করবেন। আমি মনে করি, এক্ষেত্রে বড় দেশের দায়িত্বই বেশি। ভারত একটি বিশাল দেশ। তাই পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে তারা অনেক বেশি কিছু করতে পারে।
নিজ বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, আমি মনে করি, পাকিস্তানের অগ্রাধিকার হওয়া উচিত প্রতিবেশীর সঙ্গে বাণিজ্য। তাই চীন ও ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যই হতে পারে সম্পর্ক উন্নয়নের সর্বোত্তম উপায়।
ইমরান খান আভাস দেন যে শত কোটি রুপী পাচারের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শরিফকে জবাবদিহিতে বাধ্য করতে তার দল এমনকী পিপলস পার্টির সঙ্গেও কাজ করতে প্রস্তুত। একই সঙ্গে তিনি এটাও পরিষ্কার ভাষায় জানিয়ে দেন যে, তবে তাই বলে পিপিপির সঙ্গে নির্বাচনী জোট গড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।
নিজ দেশের ক্রিকেটব্যবস্থাপনা নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেন সাবেক এই ক্রিকেটতারকা। তিনি বলেন, পাকিস্তানের ক্রিকেটব্যবস্থাপনা খুবই কমজোরি। এখানকার ক্রিকেটকাঠামো সম্ভবত বিশ্বের নিকৃষ্টতম কাঠামোগুলোর একটি। যেহেতু আমাদের উপযুক্ত ক্রিকেটকাঠামো নেই, যথাযথ ক্রিকেটব্যবস্থাপনা নেই, তাই আমরা আমাদের অসংখ্য ক্রিকেটপ্রতিভাও আহরণ করতে পারছি না।
এছাড়া এ বছর তৃতীয় বিয়ে করবেন কীনা জানতে চাইলে ইমরান খান বলেন, এ বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারছি না।