তুরস্কে নাইটক্লাবে হামলায় আইএসের দায় স্বীকার
আন্তর্জাতিক ডেস্ক :নিউ ইয়ারের প্রথম প্রহরে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে নাইটক্লাবে হামলায় ৩৯ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস) দায় স্বীকার করেছে। সোমবার হামলাকারীকে ‘বীর সৈনিক’ আখ্যা দিয়ে এক বিবৃতিতে এ দায় স্বীকার করলো জঙ্গিগোষ্ঠীটি।
শনিবার রাত দেড়টার দিকে ইস্তাম্বুলের বসফরাস নদীর তীরে অরতাকয় এলাকায় রেইনা নাইট ক্লাবে হামলা চালানো হয়। হামলাকারী প্রথমে জনপ্রিয় এই নাইটক্লাবটিতে ঢোকার প্রবেশপথে গুলি করে একজন পুলিশ সদস্য ও একজন নিরাপত্তারক্ষীকে হত্যা করে।
এরপর নববর্ষ উদযাপন ও আনন্দরত লোকদের ওপর শক্তিশালী বন্দুক নিয়ে বর্বর ও নৃশংসভাবে হামলা চালায়। হামলার সময় ক্লাবটিতে প্রায় ৬০০ লোক ছিলেন। জীবন বাঁচাতে অনেকে বসফরাস নদীতে ঝাঁপ দেন। নিহতদের মধ্যে অন্তত ১৫ জন বিদেশি নাগরিক।
কর্তৃপক্ষ জানায়, হামলায় নিহত বিদেশী নাগরিকদের মধ্যে ইসরায়েল, ফ্রান্স, তিউনিশিয়া, লেবানন, ভারত, বেলজিয়াম, জর্ডান ও সৌদি আরবের নাগরিক রয়েছে।
এই হামলার সাথে দুজন জড়িত ছিল বলে এর আগে যে খবর বেরিয়েছে তা সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেমান সয়লু। এমনকি এর আগে বলা হয়েছিল, আক্রমণকারী সান্তাক্লসের পোশাকে এসেছিল- সে তথ্যও সত্য নয়। গুলি বর্ষণ শেষে বহু মানুষের ভিড়ে হত্যাকারী সহজেই মিশে গিয়ে পালিয়ে যায়।
যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট থেকে শুরু করে বিশ্বের সব শীর্ষ নেতারাই নিন্দা জানিয়েছে এই বর্বরোচিত হামলার। নিন্দা জানিয়ে বার্তা পাঠিয়েছেন পোপ ফ্রান্সিসও।
তুরস্কে এ ধরনের হামলা প্রথম নয়। এসব হামলার অধিকাংশেরই দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেট (আইএস) ও কুর্দি যোদ্ধারা। সাম্প্রতিক সময়ে ইস্তাম্বুলে সন্ত্রাসী হামলা বেড়ে যাওয়ায় শহরজুড়ে এক হাজার ৭০০ নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েন রাখা হয়েছে। তবুও এ হামলা জনমনে নিরাপত্তা নিয়ে সংশয় সৃষ্টি করেছে।
কয়েক দিন আগে তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেয়ার সময় এক তুর্কি পুলিশ কর্মকর্তার হাতে নিহত হন রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আন্দ্রেই কারলভ।