বুধবার, ৪ঠা জানুয়ারি, ২০১৭ ইং ২১শে পৌষ, ১৪২৩ বঙ্গাব্দ

আমলকীর যত গুণ

AmaderBrahmanbaria.COM
জানুয়ারি ২, ২০১৭

অনলাইলন ডেস্ক : আমলকী বা আমলা যে নামেই ডাকি না কেন আমরা, এর উপকার এর অন্তঃ নেই। এটি শুধু একটি ফল নয় বরং বলতে হবে ‘উপকারী ফল’। মুখের স্বাদ ফেরানো থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য থেকে নিয়ে চুলের যত্ন! সবকিছুতে এর উপকার ঢের রয়েছে।

আমলকী দূর করে গলা ক্ষতঃ

গলার ক্ষত অর্থাৎ গ্রীবার উপরিভাগে ক্ষত হলে, ঠান্ডায় গলা ব্যথা বেশি বেড়ে গেলে আমলা ব্যবহারে উপকার পাওয়া যায় দুই চা চামচ আমলকীর পাউডার কে দুই চা চামচ মধুর সাথে মিশিয়ে দিনে ৩/৪ বার খেলেই ব্যথা সেরে যাবে।

ভিটামিন সিঃ

আমলকীতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি। তাই কৃত্রিম ভাবে তৈরী ভিটামিন সি এর ট্যাবলেটের পরিবর্তে একটি করে আমলকী খেলে তা ঐ ট্যাবলেটের থেকে ভালো কাজ করবে।

কোষ্ঠবদ্ধতা কমাতেঃ

প্রতিদিন এক টুকরো আমলকী খাওয়ার ফলে কোষ্ঠবদ্ধ দূর হয়। তবে আমলকী পাউডার কিংবা জ্যুস খেলে হবে না; এক টুকরো খেতে হবে।

মুখের ঘা দূর করণেঃ

মুখের ভিতর ঘা দিয়ে ভরে যাচ্ছে? এই সমস্যার জন্য আমলকী সবচে’ বেস্ট। আমলকীর জ্যুস কে আধ গ্লাস পানির সাথে মিশিয়ে সেটা দিয়ে গাল্গল করলে ঘা কমে যায়।

ঘুমের সমস্যা রোধ করতেঃ

দীর্ঘ দীর্ঘ রাত জেগে কাটানো হয়। কোনো কাজ নেই তবু ঘুম আসেনা। বিছানায় এপাশ ওপাশ ফিরলেও না। যাকে আমরা বলি ইনোসমোনিয়া। আর এটি দূর করতেও আমলকীর জুড়ি নেই। ঘুমানোর আগে এটি খেলে এটি ইনোসমোনিয়া দূর করে।

চোখের উপকারেঃ

আমলকী চোখের জন্য অনেক উপকারী। আধা কাপ পানির সাথে দুই টেবিল চামচ আমলকীর জ্যুস মিশিয়ে প্রতিদিন খাওয়ার ফলে চোখের পানি পরা, চোখ লালচে হয়ে যাওয়া এগুলো রোধ পায়।

ওজন কমাতেঃ
আমলকীফল ওজন কমাতে সহায়তা করে এবং এর ফলে মেটাবোলিজম বৃদ্ধি পায়। রোগদমন করতেঃ আমলকীর জ্যুস খাওয়ার ফলে ক্যান্সারের মতো নানান জটিল রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

এসিডিটি দূরকরণেঃ

এটি এসিডের ব্যালান্স পরিমিত রাখে এবং এসিডিটি দূর করে।

হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বৃদ্ধিঃ

এটি হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বৃদ্ধি করে এবং রক্তকণিকা বিশুদ্ধ রাখে।

কোলেস্টেরল কমাতেঃ

অধিক কোলেস্টেরল ফলে হার্ট এটাক, স্ট্রোক হয়ে থাকে। তাই রাতে ঘুমানোর পূর্বে এক গ্লাস পানির সাথে ৫০০ গ্রাম আমলকী-পাউডার মিশিয়ে খেলে কোলেস্টেরল কমে।

আমলকীর তেলঃ

আমলকীর তৈরি তেল চুলের জন্য অনেক বেশি উপকারী। এটি নিয়মিত ব্যবহারের ফলে- ১. চুল ঝরা কমে যায়। ২. চুলের বাদামী বা লালচে ভাব দূর হয়। ৩. চুল হয় ঘন ও কালো। ৪. চুল দ্রুত বৃদ্ধি পায়। ৫. চুলকে রাখে খুশকি মুক্ত। ৬. চুলে ফিরিয়ে আনে চাকচিক্য।