আওয়ামী লীগ কখনও ষড়যন্ত্রে হিম্মত হারায় না: হানিফ
নিজস্ব প্রতিবেদক: ‘বারবার স্বাধীনতাবিরোধীরা এই ধরণের হামলা চালিয়ে আমাদের বিব্রত করার চেষ্টা করে। কিন্তু তাদের মনে রাখতে হবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ কখনও এইসব ষড়যন্ত্রে হিম্মত হারায় না। লিটনের অপরাধী যেই হোক, তাকে অবিলম্বে শনাক্ত করা হবে।’
সোমবার সকালে সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের সাংসদ মনজুরুল ইসলাম লিটনের দ্বিতীয় জানাজা শেষে এ হত্যাকাণ্ডের এক প্রতিক্রিয়ায় এ কথা বলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ।
কেন আওয়ামী লীগের উপরই বারবার এ ধরণের হামলার ঘটনা ঘটছে? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন একজন তরুণ সংসদ সদস্য ছিলেন। ছাত্র জীবন থেকেই তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে প্রতিবাদী চরিত্র। তিনি তার এলাকায় অসম্ভব জনপ্রিয় একজন জনপ্রতিনিধি ছিলেন। স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে তিনি সোচ্চার ছিলেন। আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের দল, স্বাধীনতার চেতনা ধারণ করে বলেই তাকে হত্যা করা হয়েছে।’
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ শামীম ওসমান একই প্রশ্নের জবাবে বলেন, আগে থেকেই স্বাধীনতাবিরোধী চক্রের মূল টার্গেট আওয়ামী লীগ। তারাই টার্গেটগুলো করে আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করার চেষ্টা করেছে বহুবার, এখনও করছে। ২১ শে আগস্ট দেখেন, শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যা দেখেন, আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যা দেখেন। লিটনের হত্যাকারীরাও এ চক্রের বাইরে না।
সাংসদদের নিরাপত্তার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি এতটুকু বলতে চাই, উপরে আল্লাহ বাঁচিয়ে রাখলে, কারো সাধ্য নাই মারার। আমাদের সবাইকে এখন এইসব অপচক্রের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সোচ্চার থাকতে হবে।’
মনজুরুল ইসলাম লিটনের নামাজে জানাজায় অংশ নেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, নৌমন্ত্রী শাজাহান খান, তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন, শামীম ওসমান এমপি, জাতীয় সংসদের মাননীয় স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, হুইপ, মন্ত্রী পরিষদের সদস্যগণ, সংসদ সদস্যগণ এবং বিরোধী দলীয় নেতানেত্রীবৃন্দ।
গত শনিবার নিজ বাসভবনে সন্ত্রাসীদের গুলিতে প্রাণ হারান লিটন।