বৃহস্পতিবার, ২৯শে ডিসেম্বর, ২০১৬ ইং

জেলা পরিষদ নির্বাচন : সরাইলে ভোট শুরুর ১ ঘন্টা আগে সদস্য পদের নির্বাচন স্থগিত ঘোষনা

AmaderBrahmanbaria.COM
ডিসেম্বর ২৮, ২০১৬

মাহবুব খান বাবুল, সরাইল (ব্রা‏হ্মণবাড়িয়া) থেকে : জেলা পরিষদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৩নং ওয়ার্ডের (সরাইল) সদস্য পদের নির্বাচন স্থগিত ঘোষনা করেছেন ইউএনও এবং প্রিসাইডিং অফিসার ডাঃ মজিবুর রহমান। আজ সকালে ভোট শুরুর ১ ঘন্টা আগে উচ্চ আদালতের ১টি রীট পিটিশনের কারনে এ নির্বাচন স্থগিতের কথা বলছেন নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা। তবে ইসি’র পত্রে উল্লেখিত অভিযোগকারী এবং সদস্য পদের প্রার্থী আবদুল্লাহ ভূঞা বলছেন, ‘আমি নির্বাচন বন্ধের কোন আবেদন করিনি। আমাকে হেয় করার জন্য এটা একটা ষড়যন্ত্র।’ নির্বাচনের দিন ভোট গ্রহনের ঘোষনায় একদম হতাশ হয়ে পড়েছেন সদস্য পদের প্রতিদ্বন্ধি ৩ প্রার্থী। আর ভোটাররা এ ঘটনাকে সাজানো নাটক বলছেন। নির্বাহী কর্মকর্তার দফতর ও প্রিসাইডিং অফিসার সূত্রে জানা যায়, জেলা পরিষদ নির্বাচনে ৩ নং ওয়ার্ডে (সরাইল, অরুয়াইল, পাকশিমুল, চুন্টা, কালিকচ্ছ, নোয়াগাঁও ও শাহবাজপুর) সদস্য পদে মোট প্রার্থী ছিলেন ৫ জন। গত ১৮ ডিসেম্বর সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান রসুলপুর গ্রামের মোঃ জাহাঙ্গির মিয়া। পরে চুন্টা ইউনিয়নের বড়াইল গ্রামের মোঃ মনিরুল ইসলাম (টিউবওয়েল), একই ইউনিয়নের সোলায়মান কবির (তালা), ফতেহপুর গ্রামের মোঃ আবদুল্লাহ ভূঞা (সিলিংফ্যান) ও নোয়াগাঁও গ্রামের পায়েল মৃধা (সিএনজি চালিত অটোরিকশা) নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। শুরু থেকেই সোলায়মান কবিরকে আওয়ামীলীগ দলীয় প্রার্থী হিসাবে ঘোষনা দেওয়া হয়েছে। তাকে নির্বাচিত করার লক্ষ্যে আ’লীগের জেলা ও উপজেলার নেতৃবৃন্দ উপজেলা মিলনায়তনে একাধিক সভা করেছেন। আজ সকাল সাড়ে ৮টার দিকে পোলিং এজেন্টদের আবেদন জমা দিতে গেলে প্রিসাইডিং অফিসার জানান সদস্য পদে সরাইলের নির্বাচন স্থগিত ঘোষনা করেছে ইসি। হতাশ হয়ে পড়েন সাধারন সদস্য পদে আবদুল্লাহ সহ প্রতিদ্ধন্ধি প্রার্থীরা। অনেকটা চমকে উঠেন ভোটারাও। সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দা নাহিদা বলেন, উচ্চ আদালতে প্রার্থী আবদুল্লাহ ভূইয়ার দায়ের করা রীট পিটিশনের (১৫৭৬২/২০১৬) কারনে এখানে সাধারন সদস্য পদে নির্বাচন স্থগিত রাখার বিষয়টি আজ সকাল ৭টা ২৫ মিনিটে মেইলে জানতে পেরেছি। এ জন্য সদস্য পদে নির্বাচন হচ্ছে না। আবদুল্লাহ ভূইয়া বলেন, নির্বাচন বন্ধের কোন আবেদন আমি করিনি। ৪ ডিসেম্বর জেলা থেকে আমার মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছিল। এ বিষয়ে চট্রগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কাছে ৭ ডিসেম্বর আমি আপিল করি। সেখানেও পূর্বের রায় বলবদ থাকে। পরে ১২ ডিসেম্বর উচ্চ আদালতে রীট পিটিশন দায়ের করি। ১৪ ডিসেম্বর উচ্চ আদালত আমার মনোনয়ন ও প্রতীককে বৈধ ঘোষনা করে আদেশ দেয়। আমি নির্বাচন করি। গত মঙ্গলবার রাত ২টা পর্যন্ত আমি ভোটারদের কাছে গিয়েছি। ভোটের দিন সকাল বেলা এমন ঘোষনায় হতাশ হয়েছি। এটা নির্বাচন বানচাল করার একটা গভীর ষড়যন্ত্র। সেই সাথে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার একটা পায়তারা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ভোটার বলছেন, এমন একটি আদেশ ভোটের দিন সকালে কেন আসবে? এটা আগে বা পরেও তো আসতে পারত। ভোটের দিন সকালে জনৈক প্রার্থী এসেই হাঁসতে হাঁসতে চলে গেলেন। এরই বা কারন কি?