g তামিম চৌধুরীসহ ৩ উগ্রবাদীর লাশ বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন | AmaderBrahmanbaria.Com – আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া

রবিবার, ৩০শে জুলাই, ২০১৭ ইং ১৫ই শ্রাবণ, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

তামিম চৌধুরীসহ ৩ উগ্রবাদীর লাশ বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন

AmaderBrahmanbaria.COM
ডিসেম্বর ১৫, ২০১৬

---

 

নিজস্ব প্রতিবেদক : নারায়ণগঞ্জে পুলিশের অপারেশন ‘হিট স্ট্রং ২৭’-এ নিহত নব্য জেএমবি নেতা তামিম চৌধুরীসহ তিন উগ্রবাদীর লাশ বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হয়েছে। অন্য দুই উগ্রবাদী হলেন- কাজী ফজলে রাব্বী (২২) ও তাউসিফ হোসেন (২৪)।


আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর জুরাইন কবরস্থানে এই তিন উগ্রবাদীর লাশ দাফন করা হয়। এর আগে লাশগুলো আঞ্জুমানে মুফিদুল ইসলামে হস্তান্তর করা হয়।
ঘটনার সাড়ে তিন মাস পর বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গ থেকে অজ্ঞাত হিসেবে লাশগুলো আঞ্জুমানকে বুঝিয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ। পুলিশের পিবিআই’র পক্ষে লাশ হস্তান্তর করেন সংস্থাটির পুলিশ পরিদর্শক আলমগীর হোসেন এবং লাশ গ্রহণ করেন আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের কাকরাইল জোনের ডিউটি অফিসার রুহুল আমিন।

আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের কর্মকর্তা রুহুল আমিন জানান, পুলিশের একজন কর্মকর্তা দুপুর আড়াইটার দিকে তিনটি লাশগুলো হস্তান্তর করেন। পুলিশ পাহারায় লাশগুলো জুরাইন কবরস্থানে নেয়া হয়। বিকেলে জুরাইন কবরস্থানে লাশগুলো দাফন করা হয়েছে।
ঢাকা মেডিক্যালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান সোহেল মাহমুদ বলেন, নারায়ণগঞ্জে পুলিশের অভিযানে নিহত তামিমসহ তিনজনের লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। বর্তমানে আজিমপুর ও মিরপুরের রূপনগরে নিহত দুই উগ্রবাদীর লাশ মর্গে আছে। এর আগে গুলশান ও কল্যাণপুরে নিহত উগ্রবাদীসহ কয়েকজন উগ্রবাদীর লাশ আঞ্জুমানের মাধ্যমে জুরাইন কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের ডিসি (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান বলেন, অভিযানের পর তামিম চৌধুরীর ডিএনএ কানাডায় পাঠানো হয়েছিল। তার বাবা ও বোনের সাথে ডিএনএ মিলে যাওয়ায় নিশ্চিত হওয়া গেছে তিনিই তামিম চৌধুরী। তামিম চৌধুরী নব্য জেএমবির নেতা ও গুলশান হলি আর্টিজান হামলার মাস্টার মাইন্ড ছিলেন। গত ২৭ আগস্ট নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়া বড় কবরস্থানের পাশের একটি তিনতলা বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজন ইউনিট, সোয়াত টিম, বোম ডিসপোজল ইউনিট, পুলিশ হেডকোয়ার্টাসের এলআইসি ইউনিট ও লোকাল পুলিশের সমন্বয়ে এ অভিযান চালানো হয়। ৪৫ মিনিটের এ অপারেশনে মারা যান হলি আর্টিজান হামলার মাস্টারমাইন্ড তামিম চৌধুরীসহ তিনজন। ময়মনসিংহ থেকে গ্রেফতার হওয়া এক উগ্রবাদীর তথ্যের ভিত্তিতে এ অভিযান চালিয়েছিলো পুলিশ। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে একে-২২ রাইফেল, গ্রেনেড ও পিস্তল উদ্ধার করা হয়। ওই দিন সকালে বাড়িটি ঘিরে ফেলে ঢাকা থেকে যাওয়া বিশেষ বাহিনী সোয়াত ও কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের সদস্যরা।

পুলিশ জানায়, সকাল সাড়ে ৬টার থেকে তারা মুলত অভিযানের কার্যক্রম শুরু করে। পৌনে ৭টার দিকে তার ওই বাড়ির চার দিকে অবস্থান নেন। এর মধ্যে উগ্রবাদীদের আত্মসমর্পন করতে বলা হয় কিন্তু উগ্রবাদীরা আত্মসমর্পন না করে তারা তাদের শক্তির জানান দেয়। পৌনে ৯টার দিকে দিকে অপারেশনে যায় অভিযানিক দল। অভিযান চলে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত। আর এ অপারেশন ‘হিট স্টং-টোয়েন্টি সেভেন’ এর মধ্যে দিয়ে শেষ হয় জঙ্গি তামিম চৌধুরীর চ্যাপ্টার।

এ জাতীয় আরও খবর