লাইফস্টাইল ডেস্ক :কাটা ফল এবং সব্জি
‘ফুড পয়জন’ সংক্রান্ত বিষয়ে ২০ বছর ধরে কাজ করছেন বিল মারলার। মানবদেহে ইকোলাই এবং নরোভাইরাসের প্রাদুর্ভাব নিয়ে অনেক দিন ধরেই গবেষণা করছেন তিনি। সর্বদা সতর্ক করে এসেছেন এদের ক্ষতিকারক দিকগুলি নিয়ে।
মারলারের নজরে এমন কিছু খাবারদাবার এসেছে যা সত্যিই ক্ষতিকারক। একনজরে দেখে নেওয়া যাক এমনই কিছু খাবার যা থেকে সত্যিই আমাদের দূরে থাকা উচিত।
১. কাঁচা অয়েস্টার্স-; অনেকেরই ঝোঁক থাকে কাঁচা-অয়েস্টার্স এর দিকে। ঝিনুকটা তুলেই টুক করে তার ভিতরের অংশটা খেতে ভালবাসেন অনেকেই। কেন না ঝিনুকের ভিতরের অংশে জীবাণু থাকে। আর সেই জীবাণু ছড়িয়েও যায় অয়েস্টার্সে। ফলে এর থেকে নানান ধরনের রোগ-বালাইয়ের আশঙ্কা থেকে যায়।
২. কাটা ফল এবং সব্জি; মারলারের মতে কাটা ফল হচ্ছে সব থেকে বেশি ক্ষতিকারক। এই তালিকা থেকে বাদ দেওয়া যায় না কাটা সব্জিকেও। কাটা ফল খাওয়ার আগেই তাকে পানিতে ধুয়ে নেওয়া শ্রেয়।
৩. কাঁচা অঙ্কুর; কাঁচা অঙ্কুরে থাকে কমপক্ষে ৩০টি ব্যাকটিরিয়া। এদের মধ্যে সালমোনেলা এবং ইকোলি অন্যতম। না ধুয়ে খাওয়া হচ্ছে নিজে থেকে ফুড পয়জনের মতো রোগকে ডেকে আনা।
৪. রেয়ার মিট; রেয়ার মিট কখনই মিডিয়াম উষ্ণতায় গরম করা উচিত নয়। স্টিক খেতে যারা পছন্দ করেন তারা সচরাচর একটু কাঁচা অবস্থাতেই খান। তবে কমপক্ষে ১৬০ ডিগ্রি উষ্ণতায় গরম করে খাওয়া উচিত রেয়ার মিট। তবেই তার মধ্যে থেকে জীবাণুদের হটানো সম্ভব।
৫. কাঁচা ডিম; পোঁচ খেতে যারা পছন্দ করেন, তাদের জানা উচিত এই কাঁচা পোঁচই ডেকে আনে রোগবালাই। শরীরে আশ্রয় নেয় জীবাণুরা। তাই পোঁচ কাঁচা না খাওয়াই ভাল।
৬. আনপাস্তুরাইজড জুস ও দুধ; ‘র’ জুস ও দুধ খাওয়ার প্রবণতা অনেকের মধ্যেই থাকে। একটা ধারণা প্রচলিত আছে যে পাস্তুরাইজড দুধ বা জুস পুষ্টি গ্রাস করে নেয়। তাই অনেকেই আনপাস্তুরাইজড দুধ বা জুস খান। কিন্তু এটি ক্ষতিকারক। এতে থাকে ব্যাকটিরিয়া, ভাইরাস এবং প্যারাসাইটস।