১৮ই নভেম্বর, ২০১৬ ইং, শুক্রবার ৪ঠা অগ্রহায়ণ, ১৪২৩ বঙ্গাব্দ


৯ ফুট উচ্চতার মেয়ে নিয়ে বিপাকে বাবা


Amaderbrahmanbaria.com : - ১৬.১১.২০১৬

 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :মেয়েটির নাম সিদ্দিকা পারভিন৷ ভারতের পশ্চিম বঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুরের বংশীহারি থানার শ্রীরামপুর থানার ২২ বছরের এই তরুণীকে নিয়ে একসময়ে তোলপাড় হয়েছিল৷ কারণ মেয়েটির উচ্চতা। ৯ ফুট উচ্চতার সিদ্দিকার ওজন ১২৫ কেজি৷ সংবাদ মাধ্যমে এই বিরলতম খবর প্রকাশ হবার সাথে সাথেই সাহায্যের জন্য হুড়োহুড়ি পড়ে যায়৷ সাধারণ মানুষের পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সেই সঙ্গে প্রশাসনের পক্ষ থেকেও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া হয়৷

কিন্তু সবটাই যে ছিল লোক দেখানো। আর সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা প্রকট হয়ে পড়েছে৷ তিন বছর পর বিনা চিকিৎসায়, অর্ধাহারে দিন কাটছে সিদ্দিকার৷ দিনমজুর কৃষক বাবা মেয়েকে নিয়ে ভীষণ বিপদে পড়েছেন৷ মাত্র তিন বছরেই বদলে গিয়েছে ছবি৷ কিন্তু এখন আর পাশে দাঁড়ানোর মতো কেউ নেই৷ আর কেউ সাহায্যের হাতও বাড়ান না৷ যার ফলে, চরম দুর্দশার মধ্যে দিন অয়ার করতে হচ্ছে সিদ্দিক্কার পরিবারের৷

বিরলতম রোগের শিকার সিদ্দিকা পারভিন। তিনি তার অস্বাভাবিক উচ্চতার জন্য ২০১৩ সালে খবরের শিরোনামে আসেন৷ তাকে নিয়ে হইচই শুরু হয়ে যায়৷ তখন রাজ্য সরকারের তদানীন্তন মন্ত্রী শঙ্কর চক্রবর্তী উদ্যোগী হয়ে সিদ্দিকাকে কলকাতায় নিয়ে যান৷ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল পিজিতে দেড় মাস বিনা খরচায় চিকিৎসা হয় তার৷

এরপর লোকসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রেস নেতা ওমপ্রকাশ মিশ্র সিদ্দিকার দিল্লিতে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দেন৷ চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে বলেন, পিটুইটারি গ্রন্থিতে টিউমার থাকার কারণেই অস্বাভাবিক বৃ‌দ্ধি সিদ্দিকার৷ অপারেশন করে সেই টিউমার বাদও দেওয়া হয়৷ তখন তিন মাস অন্তর খাওয়া খরচ বাবদ ১০ হাজার টাকা পাঠাতেন ওমপ্রকাশ মিশ্র। কিন্তু দেড় বছর পর সেই সাহায্য বন্ধ হয়ে যায়৷

২০১৫ সালে সিদ্দিকা ফের অসুস্থ হলে তাকে আবারও পিজি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়৷ সরকারের তরফ থেকে সাহায্যর প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়৷ এখন তাকে চিকিৎসার জন্য প্রতি মাসে পিজিতে নিয়ে আসতে হয়৷ বিনা পয়সায় চিকিৎসা চললেও যাতায়াতের খরচ বহন করাই সমস্যা হয়ে উঠেছে সিদ্দিকার পরিবারের জন্য৷

তার বাবা আফাজুদ্দিন আহমেদ বলেন, “মেয়ের সারাদিন দু’ কেজি চালের ভাত লাগে৷ এছাড়া টিফিন রয়েছে৷ এখন তার শরীর ধনুকের মতো বেঁকে গিয়েছে৷ চিকিৎসার জন্য কলকাতায় প্রতি মাসে নিয়ে যেতে হয়৷ ট্রেনের সিটে জায়গা হয় না৷ বেসরকারি পরিবহণেও যাতায়াত করা সমস্যা৷ সবচেয়ে বড় কথা, প্রত্যেক মাসে কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার খরচ আর আমরা টানতে পারছি না৷”

চিকিৎসা দূরে থাক, এখন সিদ্দিকার দু’বেলা খাওয়ার জোটানোই সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে বাবা আফাজুদ্দিনের জন্য৷ ফের কেউ যদি সাহায্যের হাত বাড়ান, এখন সেই প্রতীক্ষাই করছেন তিনি৷ এ প্রসঙ্গে জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সাধারণ) অমলকান্তি রায় বলেন, “বিষয়টি জানা ছিল না৷ সিদ্দিকার পরিবারের লোকেরা যোগাযোগ করলে ভাবনা-চিন্তা করা হবে৷ সমস্যা কিছু হবে না৷”





Loading...


প্রকাশকঃ মোঃ আশ্রাফুর রহমান রাসেল
সম্পাদক : বিশ্বজিত পাল বাবু
চেয়ারম্যান : আলহাজ্ব নুরুজ্জামান
ঠিকানা : ৬০৩ ফুলবাড়িয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
email : [email protected] (news)
Phone: +880851 62307
+8801963094563


close