স্পোর্টস ডেস্ক : পার্থে বিশাল হারের পরই প্রশ্ন উঠেছিল, আর কত নিচে নামবে অস্ট্রেলিয়া? এবার আরও অসহায় পরাজয়ের পর স্টিভ স্মিথের দল বুঝিয়ে দিল, আরও তলানিতে নামা সম্ভব!
পুরো টেস্টে অস্ট্রেলিয়া খেলতে পেরেছে মাত্র ৫৫৮টি বল। নিজেদের মাঠে কোনো ম্যাচে এর চেয়ে কম বল খেলে হেরে যাওয়ার মাত্র তিনটি নজির আছে অস্ট্রেলিয়ার। এর মধ্যে সর্বশেষটি সেই ১৯২৮ সালের ঘটনা!
ব্র্যাডম্যান-যুগের পর এই প্রথম নিজেদের মাঠে এত কম বল খেলে হেরে গেল অস্ট্রেলিয়া, দেখল পরাজয়। এই টেস্টে অস্ট্রেলিয়া কতটা অসহায় ছিল, এই পরিসংখ্যানই এর সাক্ষী।
১৯০৪ সালের মেলবোর্ন টেস্টে অস্ট্রেলিয়া দুই ইনিংস মিলে খেলতে পেরেছিল মাত্র ৩৬০ বল। তাতেই পরাজয়। কিন্তু সেই যুগে উইকেট কাভারে ঢাকা থাকত না। আর উইজডেনের প্রতিবেদন বলছে, অস্ট্রেলিয়া খেলতে নামার আগে পুরো উইকেট ভিজে গিয়েছিল বৃষ্টিতে। সেই ম্যাচে উইলফ্রেড রোডস একাই ১৫ উইকেট নিয়েছিলেন, তাঁর বলে আরও আটটি ক্যাচও পড়েছিল!
১৮৮৮ সালে তাদের ২০ উইকেট পড়েছিল ৪২৯ বলের মধ্যে। কিন্তু এবারও সেই বৃষ্টিই পালন করেছিল মূল ভূমিকা। বৃষ্টিতে থিকথিকে হয়ে যাওয়া উইকেটে খেলাই হয়ে গিয়েছিল কঠিন।
ব্র্যাডম্যান-যুগের যে টেস্টটির কথা বলা হচ্ছে, সেই ম্যাচেও তারা খেলেছিল ৪৫৭টি বল। সেবার প্রথম ইনিংসে গ্রেগরি আর দ্বিতীয় ইনিংসে জ্যাক গ্রেগরির পাশাপাশি চার্লস কেলেওয়ে ব্যাট হাতে নামতে পারেননি। একজনের চোট ছিল, আরেকজন অসুস্থ হয়ে গিয়েছিলেন। পারলে হয়তো আরও বেশি বল খেলতে পারত অস্ট্রেলিয়া।
এই টেস্টে অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ হেরেছিল ৬৭৫ রানে। তবে সব ছাপিয়ে ম্যাচটি স্মরণীয় হয়ে আছে, এই ম্যাচ দিয়েই অভিষেক হয়েছিল ব্র্যাডম্যানের।
ঘরের মাটিতে অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসেই সবচেয়ে বাজে ৫ হারের একটি হয়ে থাকল এই হোবার্ট টেস্ট। টেস্টে হারের মধ্যেও একধরনের গর্ব থাকে, যদি সেই ম্যাচ দুর্দান্ত লড়াই করতে পারে দল। আর এই টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার জন্য বরাদ্দ থাকল শুধুই লজ্জা।