রাখাইন রাজ্যে সহিসংতার পর বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে অবস্থান করেছে আরো ২০০ রোহিঙ্গা। সোমবার বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষীরা তাদের মিয়ানমার সীমান্তে ফেরত পাঠায়।
টেকনাফ শরণার্থী ক্যাম্পের একজন রোহিঙ্গা নেতা এএফপিকে জানায়, আমরা শুনেছি ২০০ জন রোহিঙ্গা নিরাপদ আশ্রয় খুঁজছে, এদের মধ্যে বেশিরভাগ নারী এবং শিশু। তাদের ফেরত যাওয়ার কোন জায়গা নেই। মিয়ানমার আর্মি রাখাইনদের ওপর চড়াও হওয়ার পর নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে সংঘর্ষে ৭০ জন মারা যায়। এরপরই ২০০ রোহিঙ্গা পালিয়ে আসে।
বিজেবির একজন মুখপাত্র বলেন, প্রায় ৮০ জন সীমান্তের কাছাকাছি চলে এসেছিল। মিয়ানমার আর্মি জানায়, চলমান সহিংসতায় মাত্র দুই দিনে সেনাসহ ৩০ জন নিহত হয়। একজন অ্যাকটিভিস্ট জানান, প্রকৃত সংখ্যা এর চেয়ে বেশি। তারা অভিযোগ করেন সেনাবাহিনী নাগরিকদের হত্যা, নারীদের ধর্ষণ এবং সাধারণ মানুষকে নির্যাতন করছে। তবে রাখাইন রাজ্যে প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপের কারণে সরকারের তথ্য বা অ্যাকটিভিস্টদের অভিযোগের সুনির্দিষ্ট প্রমাণ মেলা মুশকিল।
সোমবার রোহিঙ্গারা নাফ নদী পার করে বাংলাদেশ সীমান্তে আসে এবং কয়েক ঘন্টার মধ্যেই তাদের বাংলাদেশ সীমান্ত রক্ষীবাহিনী ফেরত পাঠায়। বিজিবির মুখপাত্র মেজর রুশেল সিদ্দিকী এএফপিকে বলেন, যাদের ফেরত পাঠানো হয়েছে তারা অর্থনৈতিক অভিবাসী। তিনি রোহিঙ্গা নেতাদের দাবি করা রাখাইনে সাম্প্রতিক সহিংসতার কথা অস্বীকার করেন। বাংলাদেশ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবস্থানরত মোহাম্মদ তৌহিদ ফোনে এএফপিকে বলেন, তিনি সোমবার পালিয়ে এসেছেন। কিন্তু বর্ডার গার্ডদের চোখ বাঁচিয়ে তিনি এখন শরণার্থী ক্যাম্পে। বলেন, মিয়ানমার আর্মি আমার বোনকে মেরে ফেলেছে, আমি আমার মাকে একা রেখে পালিয়ে এসেছি। জানি না তিনি বেঁচে আছেন কি না। সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের অনেক নির্যাতন করে।
জাতিসংঘ রোহিঙ্গাদের সবচাইতে নির্যাতিত জনগোষ্ঠি বলে আখ্যায়িত করেছে। বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ মিয়ানমারে তাদের দীর্ঘ বসতি হওয়া সত্ত্ব্ওে মিয়ানমার সরকার মুসলিম এই জনগোষ্ঠিকে নাগরিকত্ব দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছে। বাংলাদেশে তারা অবৈধ অভিবাসী হিসেবে পরিচিত।
সূত্র:চ্যানেল নিউজ এশিয়া