নিউজ ডেস্ক : বিশ্বজুড়ে ক্লিন এনার্জি বা পরিবেশবান্ধব শক্তি নিয়ে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র। এ সংক্রান্ত প্রকল্পে অর্থায়নের অংশ হিসেবে বাংলাদেশে এর বাজার ত্বরান্বিত করতে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে ওয়াশিংটন। সোমবার বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত ঘোষণা দেওয়া হয়।
বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ ইনফ্রাস্টাকচার ডেভেলপমেন্ট করপোরেশন লিমিটেড-এর সঙ্গে এক সমঝোতা স্মারকে সই করেছে ক্লিন এনার্জি মিনিস্টেরিয়াল (সিইএম)-এর গ্লোবাল লাইটিং অ্যান্ড এনার্জি অ্যাকসেস পার্টনারশিপ। হোয়াইট হাউস থেকে জানানো হয়েছে, মানসম্মত পরিবেশবান্ধব নবায়নযোগ্য শক্তির উন্নয়নে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
হোয়াইট হাউস বলছে, এটি বাংলাদেশে পরিবেশবান্ধব নবায়নযোগ্য শক্তি বা সোলার গ্রাহকদের সেবার মান নিশ্চিত করবে। বাংলাদেশের মানুষ সাশ্রয়ী মূল্যে উচ্চ গুণমানসম্পন্ন, নির্ভরযোগ্য ও আধুনিক সেবা উপভোগ করবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের দফতর থেকে বলা হয়েছে, বারাক ওবামার প্রশাসন বৈশ্বিক পরিবর্তনকে ক্লিন এনার্জির অর্থনীতির দিকে ধাবিত করতে আগ্রহী।
২০১০ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে বৈশ্বিক ক্লিন এনার্জি তহবিলে ১১ বিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ বিনিয়োগ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ক্রমবর্ধমান জ্বালানি চাহিদা মেটানো এবং কার্বন নির্গমন হ্রাসকল্পে বিশ্বের বিভিন্ন দেশকে নানা রকম সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে অনুদান ভিত্তিক সহায়তা, উন্নয়ন অর্থায়ন ও এক্সপোর্ট ক্রেডিটের মতো বিষয়গুলো রয়েছে।
বৈশ্বিক সহায়তা দেওয়া ছাড়াও নিজ দেশে ক্লিন এনার্জি নিয়ে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র। এ সংক্রান্ত গবেষণা ও উন্নয়নকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার তালিকায় রেখেছে দেশটি। এছাড়া এ প্রযুক্তির ব্যয় হ্রাসকল্পেও কাজ করছে মার্কিন প্রশাসন। বিশ্বজুড়ে ক্লিন এনার্জির সাশ্রয়ী ও নির্ভরযোগ্য ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
কার্বন এনার্জির ব্যবহার কমিয়ে শূন্যে নামিয়ে আনার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে ওবামা প্রশাসন। এ লক্ষ্যে বেশকিছু পদক্ষেপও নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ওভারসিজ প্রাইভেট ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশনের (ওপিআইসি) পক্ষ থেকে এল সালভেদর ও ভারতে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে ১২৫ মিলিয়ন ডলার অর্থায়নের প্রতিশ্রুতিও রয়েছে।