আকতার হোসেন ভুইয়া,নাসিরনগর(ব্রাহ্মণবাড়িয়া) সংবাদদাতা ॥ নাসিরনগরে হিন্দু বাড়ি ,মন্দিরে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় সোমবার রাতে বিভিন্ন স্থান থেকে আরও ৬ জনকে আটক করা হয়েছে। এনিয়ে আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী অভিযান চালিয়ে এ পর্যন্ত ৮৪ জনকে আটক করা হয়েছে। পুলিশ বলছে তাদের সাড়াঁশি অভিযান অব্যাহত থাকবে। এ ঘটনায় নাসিরনগর থানায় পৃথক ৫টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এদিকে উপজেলার বেশক‘টি গ্রামে গ্রেফতার আতংকে সন্ধ্যার পর পুরুষশূন্য হয়ে পড়ছে।রাতের বেলায় খোলা ধানি জমি কিংবা হাওরের দূর্গম বাড়িঘরে লুকিয়ে রাত কাটাচ্ছে।পুরুষরা গ্রেফতারের ভয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে থাকায় মহিলারাও রয়েছেন আতংকে। কয়েকটি গ্রামে পুলিশ আতংক বিরাজ করছে। নাসিরনগর থানার নবাগত ওসি আবু জাফর জানান, এ পর্যন্ত বিভিন্ন গ্রাম থেকে মোট ৮৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।তবে নিরাপরাধ কাউকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না শুধুমাত্র ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য,ফেসবুকে আপত্তিকর ছবি পোস্ট করে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার ঘটনার জের ধরে ৩০ অক্টোবর উপজেলা সদরে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়ি-ঘর ও মন্দিরে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। এঘটনার পরের দিন ৩১ অক্টোবর সোমবার স্থানীয় গৌরমন্দিরের সাধারণ সম্পাদক নির্মল চন্দ্র চৌধুরী ও দত্তবাড়ির কাজল জ্যোতি দত্ত বাদি হয়ে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করে। এসব মামলায় অজ্ঞাতনামা সহ¯্রাধিক লোককে আসামী করা হয়। ঘটনার চারদিনের মাথায় ৩ নভেম্বর রাতে আবারও একই এলাকায় ৬টি রান্নাঘর,গোয়ালঘর ও পরিত্যক্তঘরে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এঘটনার পর পুলিশের পক্ষ থেকে অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামী করে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করে। সর্বশেষ ১৩ নভেম্বর সদরের পশ্চিম পাড়ার ছোটলাল দাসের বাড়িতে মাছ ধরার জালের ঘরে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এঘটনায় ছোটলাল দাস বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছে।