নিউজ ডেস্ক : বাংলাদেশ থেকে কোন প্রক্রিয়ায় কর্মী মালয়েশিয়ায় যাবে, সেটি নিয়ে আলোচনা করতে মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী রিচার্ড রায়ট আনাক জায়েমের নেতৃত্বে নয় সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল আজ মঙ্গলবার ঢাকায় আসছেন। ঢাকায় এসেই প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন তাঁরা।
জানা গেছে, মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানো ব্যাপারে এ বৈঠকেই দুই দেশের বিভিন্ন বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাতে চায় বাংলাদেশ।
চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি জি টু জি প্লাস (সরকারি ও বেসরকারিভাবে) পদ্ধতিতে কর্মী পাঠানোর বিষয়ে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া সরকার সমঝোতা স্মারকে সই করে। কিন্তু এর ১২ ঘণ্টার মধ্যেই মালয়েশিয়া জানায়, এই মুহূর্তে তারা আর কোনো কর্মী নেবে না। এতে কর্মী পাঠানোর প্রক্রিয়া ঝুলে যায়। সাত মাস পর সেপ্টেম্বরে সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নির্মাণ (কনস্ট্রাকশন), বনায়ন (প্ল্যান্টেশন) ও উৎপাদন (ম্যানুফ্যাকচারিং) খাতে কর্মী নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় মালয়েশিয়া। তবে কোন প্রক্রিয়ায় কর্মী যাবে, কারা কাজ পাচ্ছে—এসব নিয়ে জটিলতা তৈরি হওয়ায় সেই প্রক্রিয়া আটকে যায়।
সফরের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী নুরুল ইসলাম গতকাল রাতে বলেন, ‘মালয়েশিয়ার মন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার পরই আমরা বলতে পারব কী সিদ্ধান্ত হলো। তবে আমরা আশা করছি ইতিবাচক কিছু হবে।’ তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে ৭৪৫ টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের তালিকা মালয়েশিয়াকে দেওয়া হয়েছে। তারা যাকে ইচ্ছে কাজ দেবে। তবে এই মুহূর্তে বাজার চালু হোক, সেটা মূল লক্ষ্য।
মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী ছাড়াও এই প্রতিনিধিদলে আছেন ঢাকায় নিযুক্ত মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার নুর আশিকিন বিনতে মোহাম্মদ তায়েব, মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপমহাপরিচালক শাহনিয়ার বিন দারুসমান, ইমিগ্রেশনের মহাপরিচালক হাজি মুস্তাফার বিন হাজি আলী, শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জেফরি বিন জোয়াকিম, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিদেশি শ্রমিক ব্যবস্থাপনা শাখার উপসচিব জামিরি বিন মাত জিন, অভিবাসন দপ্তরের পরিচালক খায়রুল খায়ের বিন ইয়াহিয়া, মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মুখ্য সহকারী সচিব শাহাবুদ্দিন বিন আবু বকর ও মানবসম্পদমন্ত্রীর বিশেষ কর্মকর্তা রবার্ট আনাক দাপন।
প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, এই প্রতিনিধিদল কর্মী পাঠানোর সবকিছু চূড়ান্ত করবে। এরপর তারা যে প্রতিবেদন দেবে, তার ওপর ভিত্তি করে করণীয় ঠিক করবে মালয়েশিয়া। এই সফরের মধ্য দিয়ে শিগগিরই আবারও দেশটিতে কর্মী যাওয়া শুরু হবে বলে আশা করছে সরকার। মালয়েশিয়ার বাংলাদেশ হাইকমিশন এবং প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিকভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য খরচ নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৭ হাজার টাকা।