এখনও ফুরিয়ে যাননি, প্রমাণ দিচ্ছেন শাহরিয়ার নাফীস
---
স্পোর্টস ডেস্ক : শাহরিয়ার নাফীসের নামটা যেন ভুলতেই বসেছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা। ভোলাটাই স্বাভাবিক। জাতীয় দলের হয়ে বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচটি খেলেছেন ২০১৩ সালে। শেষ ওয়ানডে খেলেছেন আরো দুই বছর আগে। সাব্বির রহমান, মোসাদ্দেক হোসেন, মেহেদি হাসান মিরাজদের মতো তরুণ ক্রিকেটারদের ভীড়ে কে-ই বা মনে রাখতে যাবেন ‘বুড়ো’ নাফীসের কথা। কিন্তু ঘরোয়া ক্রিকেটে অসাধারণ নৈপুণ্য দেখিয়ে এই নাফীস কিন্তু প্রতি মুহূর্তেই মনে করিয়ে দিচ্ছেন যে, তিনি এখনো ফুরিয়ে যাননি।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) চতুর্থ আসরে নাফীস খেলছেন বরিশাল বুলসের হয়ে। এখন পর্যন্ত চারটি ম্যাচ খেলে তিনটিতেই অর্ধশতকের ইনিংস খেলেছেন বাঁ-হাতি এই ব্যাটসম্যান। আরেকটি ম্যাচে ছয় নম্বরে ব্যাট করতে নেমে অপরাজিত ছিলেন এক রান করে। এই চারটি ম্যাচের তিনটিতেই জয় পেয়েছে বরিশাল। আর তার পেছনে নাফীসের যে অসামান্য ভূমিকা আছে, তা বলাই বাহুল্য।
শুধু বিপিএলেই না, তার আগে প্রথম শ্রেণির ঘরোয়া ক্রিকেটেও নাফীস ধারাবাহিকভাবে দেখিয়েছেন ভালো নৈপুণ্য। জাতীয় ক্রিকেট লিগের সর্বশেষ তিনটি ম্যাচে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছিল ৭৬, ৭২, ৪৮ ও অপরাজিত ৪০ রানের ঝলমলে ইনিংস। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের প্রাথমিক দলে জায়গাও করে নিয়েছিলেন ৩১ বছর বয়সী নাফীস। প্রস্তুতি ম্যাচেও খেলেছিলেন অর্ধশতকের ইনিংস। কিন্তু চূড়ান্ত দলে করে সুযোগ মেলেনি বাঁ-হাতি এই ব্যাটসম্যানের।
২০০৫ সালে বেশ সাড়া জাগিয়েই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল শাহরিয়ার নাফীসের। ২০০৬ সালে বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে এক পঞ্জিকাবর্ষে এক হাজার রান পূর্ণ করেছিলেন বাঁ-হাতি এই ওপেনার। নাফীসের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের কথা জোরেসোরেই উচ্চারিত হয়েছিল বাংলাদেশের ক্রিকেট অঙ্গনে। কিন্তু নাফীস নিজেই সেই সম্ভাবনা গুঁড়িয়ে দিয়েছিলেন ২০০৮ সালে ভারতের বিতর্কিত টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতা, আইসিএলে যোগ দিয়ে। পড়েছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নিষেধাজ্ঞার খাঁড়ায়। দুই বছরেরও বেশি সময় পর আবার ফিরেও এসেছিলেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। কিন্তু খুব বেশি দিন দলে নিজের জায়গা ধরে রাখতে পারেননি। আর এখন প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্যে ফেরাটা যে আরো কঠিন হয়ে গেছে, তা হয়তো নাফীস নিজেও বুঝতে পারছেন। বাংলাদেশের নির্বাচকেরা ভিন্ন কিছু ভাবছেন কি না, সেটা সময়ই বলে দেবে।