স্পোর্টস ডেস্ক :তৃতীয় দিন শেষে মনে হয়েছিল, অস্ট্রেলিয়ার থেকে এবার কিছুটা লড়াই হয়তো দেখা যাবে। কিন্তু কিসের কী লড়াই, রাত পোহাতেই পুরোনো চেহারায় অস্ট্রেলিয়া!
হোবার্ট টেস্টে প্রথম ইনিংসে ৮৫ রানে অলআউট হওয়া অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় ইনিংস গুটিয়ে গেছে ১৬১ রানে। তাতে সিরিজের দ্বিতীয় এই টেস্ট ইনিংস ও ৮০ রানে জিতে এক ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজও জিতে নিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
হিসাবমতে আজ ছিল টেস্টের চতুর্থ দিন। কিন্তু ম্যাচ শেষ লাঞ্চের আগেই। অথচ দ্বিতীয় দিনে বৃষ্টিতে একটি বলও মাঠে গড়ায়নি। সেই হিসাবে অস্ট্রেলিয়া হারল আড়াই দিনেই! শ্রীলঙ্কার কাছে ৩-০ তে হোয়াইটওয়াশ হয়ে যাওয়ার পর দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে টানা দুই টেস্ট হার। স্টিভেন স্মিথের দল এবার ঘরের মাটিতেও হোয়াইটওয়াশের শঙ্কায়!
অথচ এক মাসে আগে দক্ষিণ আফ্রিকা যখন অস্ট্রেলিয়া সফরে গেল, তাদের নিয়মিত অধিনায়ক ও সেরা ব্যাটসম্যান এবি ডি ভিলিয়ার্সই দলে নেই। প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিনে হারিয়ে ফেলল নিজেদের সেরা পেসার ডেল স্টেইনকেও। সেই দক্ষিণ আফ্রিকাই কিনা অস্ট্রেলিয়াকে টানা দুই টেস্টে হারাল। তাও আবার তাদের গুঁড়িয়ে দিয়ে!
অস্ট্রেলিয়া তৃতীয় দিন শেষ করেছিল ২ উইকেটে ১২১ রানে। প্রথম ইনিংসে ৩২৬ রান করা দক্ষিণ আফ্রিকাকে আবার ব্যাটিংয়ে নামাতে তখনো অস্ট্রেলিয়ার প্রয়োজন ছিল ১২০ রান। আগের দিনে ফিফটি করা উসমান খাজা ৫৬ ও অধিনায়ক স্মিথ ১৮ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করেন।
কিন্তু এদিন দুই প্রোটিয়া পেসার কাইল অ্যাবট ও কাগিসো রাবাদার বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতেই পারল না অস্ট্রেলিয়া। দলীয় ১২৯ রানে খাজা ব্যক্তিগত ৬৪ করে ফেরার পরই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ল অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং। মাত্র ৩২ রানে শেষ ৮ উইকেট হারিয়ে স্বাগতিকরা অলআউট ১৬১ রানে। দুই ইনিংস মিলে অস্ট্রেলিয়া খেলতে পেরেছে মাত্র ৫৫৮ বল, যা তাদের ঘরের মাঠে হারা টেস্টে চতুর্থ সর্বনিম্ন, আর ১৯২৮ সালে স্যার ডন ব্র্যাডম্যানের অভিষেকের পর সর্বনিম্ন!
অস্ট্রেলিয়াকে গুঁড়িয়ে দিতে দ্বিতীয় ইনিংসে ৭৭ রানে ৬ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন অ্যাবট। বাকি ৪ উইকেট জমা পড়েছে রাবাদার ঝুলিতে।
এই জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল দক্ষিণ আফ্রিকা। আগামী ২৪ নভেম্বর অ্যাডিলেড ওভালে গোলাপি বলে শুরু হবে তৃতীয় ও শেষ টেস্ট, যেটি দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম দিবারাত্রির টেস্ট।