ডেস্ক রির্পোট : নাসিরনগরে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপরে দফায় দফায় হামলা ও সর্বশেষ অগ্নি সংযোগের ঘটনায় আতঙ্কিত সেখানকার হিন্দু অধিবাসীরা। সর্বশেষ শনিবার পুলিশি অভিযান ও ধড়পাকড়ের ফলে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। তবে অগ্নিকা-ের ঘটনায় ভীত হয়ে নাসিরনগরের হিন্দুরা তাদের বাড়ির দলিল, গুরুত্বপূর্ণ কাগজ, নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার নিরাপদে লুকিয়ে রাখছেন। এমনকি অনেক গ্রামবাসীই ভাবিষ্যত নিরাপত্তার কথা ভেবে বাড়ির কমবয়সী মেয়েদের দুরে কোথাও নিরাপদ আশ্রয়ে পাঠিয়ে দেওয়ার কথা ভাবছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নাসিরনগরের এক হিন্দু অধিবাসী বিবিসি বাংলাকে বলেন, নাসিরনগরে আমরা যেভাবে থাকতাম সেখানে কে হিন্দু কে মুসলমান তা চিনতাম না। কিন্তু গত কয়েকদিনের ঘটনায় আমরা আসলে খুবই আতঙ্কিত। প্রথম দিনের তুলনায় গত শুক্রবারে রাতের অন্ধকারে অগ্নিকা-ের ঘটনায় আতঙ্ক আরো বেড়েছে। এতে বাড়ির কাগজপত্র, স্বর্ণালঙ্কারসহ গুরুত্বপূর্ণ জিনিষ সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। তাদের এখন একটাই ভয়, যদি কোনভাবে আবার আগুন দেওয়া হয় তবে গুরুত্বপূর্ণ সবকিছু পুড়ে যেতে পারে। অন্যদিকে স্বর্ণালঙ্কার লুট হয়ে যেতে পারে। এতে কেউ কেউ দুরের অত্মীয় স্বজনদের বাড়িতে সেগুলো পাঠানোর চেষ্টা করছে অথবা বাড়িতেই কোথাও নিরাপদ রাখতে চাচ্ছে।
তিনি বলেন, পুলিশের অভিযানে অনেককে গ্রেফতার করা হয়েছে। এতে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এলেও সবাই চিন্তা করছে ভবিষ্যত বিপর্যয়ের কথা। রাতের অন্ধকারে যে গুপ্তচরা হচ্ছে তাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আমাদেরকে কতোটুকু নিরাপদ রাখতে পারবে তা নিয়ে তৈরি হয়েছে সংশয়।
তিনি বলেন, এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে, আমরা আদৌ এই দেশে থাকতে পারবো কিনা! আমরা সবাইতো এই দেশকে নিজেদের দেশে মনে করি। দেশটাকে আমরা সবাই কী আমার দেশ, আমার সম্পদ, আমার মা ভাবতে পারিনা?
সূত্র: বিবিসি বাংলা।