এস.এম. সাইফুল ইসলাম কবির : বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্মচাপ নাডা আরও ঘনিভূত হয়ে দ্রুত বাংলাদেশ উপকূলের দিকে ধেয়ে আসায় বাগেরহাটের জেলা প্রশাসন শনিবার রাতে ২৩৪টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র খুলে দিয়েছে। জেলা সদরসহ শরণখোলা ও মংলায় ৩টি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। বাগেরহাটের উপকূল জুড়ে বিরাজ করছে আতংক। জেলা প্রশাসন রাতে দুর্যোগ মোকাবেলায় জরুরী সভা করে সকল সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করে তাদের নিজ-নিজ কর্মস্থলে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। প্রস্তুত রাখা হয়েছে সেচ্ছাসেবক ও মেডিকেল টিম। জেলা প্রশাসক তপন কুমার বিশ্বাস জানান, দুর্যোগ পরবর্তী প্রাথমিক ত্রাণ তৎপরতা চালাতে নগদ ২ লাখ টাকা ও ৯ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ করা হয়েছে।
এদিকে মংলা বন্দর হারবার বিভাগ জানিয়েছে, বন্দরে একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। ১২টি পণ্যবোঝাই জাহাজকে মংলা বন্দরের আউটার অ্যংকরেজে নিরাপদে নোঙ্গর করে থাকতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বাগেরহাটের মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। মংলা নৌঘাটি ও কোস্টগার্ড কন্টোল রুম খুলে তাদের জাহাজগুলোকে কাছাকাছি নিরাপদ আশ্রয়ে রেখেছে যাতে স্বল্প সময়ের মধ্যে দুর্যোগ পরবর্তী যেকোন ত্রাণ ও উদ্ধার অভিযানে অংশ নিতে পারে।
বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) সাইদুল ইসলাম রাতে জানান, সুন্দরবন বিভাগেরও একটি কন্টোল রুম খুলে সার্বিক পরিস্থিতি মনিটর করা হচ্ছে। সুন্দরবনের সকল কর্মকর্তা কর্মচারীদের নিরাপদে থাকতে বলা হয়েছে। দুবলার চরের শুঁটকি জেলে পল্লীর কয়েক হাজার জেলে-বহরদারদের সন্ধ্যার আগেই আলোরকোল ও মেহেরআলীর চরে ২টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কয়েক শত ফিসিং ট্রলার সুন্দরবনের ছোট-ছোট খালে আশ্রয় নিয়েছে। সুন্দরবনের উপর দিয়ে বিকাল থেকেই বইছে ঝড়ো হাওয়া। গভীর নিম্মচাপ নাডা’র প্রভাবে সন্ধ্যা থেকেই সুন্দরবনে স্বাভাবিকের চেয়ে দেড় থেকে দুই ফুট পানি বেড়েছে।