অনলাইন ডেস্ক : ফেসবুকে কিংবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিশোধমূলক পর্ন ক্রমে বাড়ছে। সঙ্গীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে যাওয়ার পর সাবেক সেই সঙ্গীর যৌনতামূলক ছবি বা ভিডিও অনলাইনে ছড়িয়ে দেওয়ার প্রবণতা বা ‘রিভেঞ্জ পর্ন’-এর প্রকোপ দিন দিন বাড়ছে।
সম্প্রতি ১৪ বছর বয়সী এক মেয়ে তার পর্নো ছবি পোস্টের অভিযোগে ফেসবুকের বিরুদ্ধে বেলফাস্টে অভিযোগ করেছে। আর এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিষয়টির প্রকোপ উপলব্ধি করা যাচ্ছে। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে গার্ডিয়ান।
সম্প্রতি যুক্তরাজ্যে প্রকাশিত এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, এ ধরনের ‘রিভেঞ্জ পর্ন’ অনলাইনে প্রকাশ করে সাবেক সঙ্গীকে অপদস্থ করার সংখ্যা ক্রমে বাড়ছে। আর এ সমস্যার সমাধানে এখনই সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
‘রিভেঞ্জ পর্ন’ বা প্রতিশোধমূলক পর্নোগ্রাফির বিরুদ্ধে যে আইনজীবীরা কাজ করছেন, তারা এটি আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন। মূলত ফেসবুককে এ অভিযোগে আদালতে তোলার ফলে বিষয়টি ভিন্ন দিকে প্রবাহিত হতে পারে বলে মনে করছেন তারা। ২০১০ সালে প্রথম রেভেঞ্জ পর্নের প্রকোপ বাড়ে। ‘ইজএনিওয়ানআপ’ নামে একটি ওয়েবসাইট প্রথম এ ধরনের কন্টেন্ট প্রকাশ করা শুরু করে। এরপর তা নানা মাধ্যমে প্রকাশিত হতে থাকে।
সম্প্রতি ১৪ বছর বয়সী এক মেয়ে তার ‘রিভেঞ্জ পর্ন’ ফেসবুকে প্রকাশিত হয়েছে বলে অভিযোগ করে। আর এজন্য ফেসবুককে দায়ী করে আদালতে নেওয়া হয়।
বিভিন্ন স্থানে এখন ‘রিভেঞ্জ পর্ন’-এর অভিযোগে ফেসবুককে দায়ী করা উচিত কি না, এ বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে। এ বিষয়ে আইনজীবী প্রতিষ্ঠান জনসন্সের কর্মী পল টুইড বলেন, ‘এটি রিভেঞ্জ পর্ন বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি করেছে। কারণ এটি একটি সামাজিক সমস্যা। এ সমস্যার কারণে ফেসবুক বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সেবাদাতাদের দায়ী করা ঝুঁকিপূর্ণ।’
বিশেষজ্ঞরা বলছেন এ সমস্যা শুধু ফেসবুকের নয়। এ কারণে সমস্যার সমাধানটি গুরুত্বপূর্ণ। ফেসবুকের এক মুখপাত্র বলেন, ‘এ ধরনের বিষয়গুলো নিয়ে যখনই অভিযোগ পাওয়া যায় তখনই মুছে ফেলা হয়। আর এটি আমাদের সামাজিক স্ট্যান্ডার্ডের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে নগ্ন ছবি, যৌনতামূলক কনটেন্ট প্রকাশের অনুমতি দেয় না।’