মানি লন্ডারিং প্রতিরোধে ব্যর্থ হওয়ায় বাংলাদেশের সোনালী ব্যাংক যুক্তরাজ্য (ইউকে) শাখাকে ৩৩ লাখ পাউন্ড জরিমানা করা হয়েছে। বুধবার দেশটির আর্থিক খাত তদারকি প্রতিষ্ঠান ফিন্যান্সিয়াল কনডাক্ট অথরিটির (এফসিএ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। খবর বিবিসি
এছাড়া ব্যাংকটিকে নতুন গ্রাহকদের কাছ থেকে আমানত গ্রহণের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আগামী ছয় মাসের জন্য এ নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে। জরিমানার পরিমাণ বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩৩ কোটি টাকারও বেশি।
এফসিএর প্রতিবেদনে বলা হয়, সোনালী ব্যাংক ইউকে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধে ব্যর্থ হয়েছে। এ জন্য ব্যাংকটিকে এই জরিমানা করা হয়েছে। তবে ব্যাংকটি বাংলাদেশে রেমিটেন্স পাঠাতে পারবে।
এর আগে, সম্ভাব্য মুদ্রা পাচার ঠেকাতে পদ্ধতি উন্নত করতে সোনালী ব্যাংককে ২০১০ সালে সতর্ক করেছিল এফসিএ। কিন্তু ব্যবস্থার উন্নতি ঘটাতে ব্যর্থ হয় ব্যাংকটি। এ জন্য এই জরিমানা।
বাংলাদেশ স্বাধীনের পরপরই যুক্তরাজ্যে সোনালী ব্যাংকের যাত্রা শুরু হয়। তবে অনিয়মের কারণে ১৯৯৯ সালে এর কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। পরে ২০০১ সালের ডিসেম্বরে নতুন করে যাত্রা শুরু হয় ব্যাংকটির।
যুক্তরাজ্যে সোনালী ব্যাংকের তিনটি শাখা রয়েছে। এগুলো হলো লন্ডন, বার্মিংহাম ও ব্রাডফোর্ড। এতে সরকারের মালিকানা রয়েছে ৫১ শতাংশ ও সোনালী ব্যাংকের ৪৯ শতাংশ।