নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, যুদ্ধাপরাধীদের যারা মদদ দিয়েছে, রক্ষার চেষ্টা করেছে, তাদেরও বিচার হবে।জাতীয় শ্রমিক লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বুধবার গণভবনে আয়োজিত এক আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশের মানুষের উন্নয়নে আওয়ামী লীগ সরকার কাজ করে যাচ্ছে।, আমি খাব কেউ খাবে না- ওই নীতি আওয়ামী লীগ সরকারের জন্য নয়। আমরা সবার জন্যই সমান সুযোগ সৃষ্টি করেছি এবং করে যাচ্ছি। নীতি ঠিক রেখে সঠিক পদক্ষেপ নিলেই দেশের উন্নয়ন সম্ভব। আমরা সেটি করে দেখিয়েছি। হঠাৎ রাতারাতি বড়লোক হওয়ার নীতি আমাদের নয়।’
তিনি আরো বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে তখনই শ্রমিকদের কল্যাণে কাজ করেছে। আমাদের রাজনীতিই হচ্ছে শ্রমিকদের জন্য। আমরা ক্ষমতায় আসি সাধারণ মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য। আর বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া যখন ক্ষমতায় এসেছেন তখনই এতিমের টাকা চুরি করে খেয়ে গেছেন। তারা ক্ষমতায় এলেই লুটপাট করেন।
বিএনপির আন্দোলনে পেট্রোল বোমায় হতাহতের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যারা পুড়ে মারা গেছে, এ দৃশ্য তাদের ছেলে বা বাবা দেখেছে, তারা কি বিচার পাবে না? এসব কাজের কি বিচার হবে না? অবশ্যই হবে। যুদ্ধারাধীদের যেমন বিচার আমরা করেছি, এসবের বিচারও হবে।’
আওয়ামী লীগের আমলে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখন একজন দিনমজুর খাদ্য, মাছ কিনতে পারেন, কিছু টাকা সঞ্চয়ও করতে পারেন। আমরা অর্থনীতিকে শক্তিশালী করেছি। বেসরকারি খাতকে উন্মুক্ত করেছি। আগে বিদেশে পাঠানো হতো মানুষকে, এসব নিয়ে তখন ব্যবসা করত বিএনপি।
বর্তমানে কর্মক্ষেত্রে সাফল্যের জন্য প্রশিক্ষণের গুরুত্বের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘যান্ত্রিক ও আধুনিক এই যুগে যথাযথ প্রশিক্ষণ নিতে হবে। আমরা তার পূর্ণ সুযোগ ও ব্যবস্থা করে দিয়েছি। কারণ, সবাই এখন স্কিলড লেবার চায়। সে জন্য প্রশিক্ষণের সুযোগ করে দিয়েছি। এই আধুনিক যুগে যথাযথ প্রশিক্ষণ নিতে হবে। প্রত্যেকটা সেক্টরে ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। শ্রম, প্রবাসীকল্যাণ ও যুব মন্ত্রণালয় সে লক্ষ্যে কাজ করছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শ্রমিকদের কাউকে অবহেলার চোখে দেখা যাবে না। মনে রাখতে হবে সে কাজ করে, তারও মর্যাদা আছে। তার কাজের গুরুত্ব আমাদের নিতে হবে। এ ছাড়া আমি খাব কেউ খাবে না, এই নীতি আমাদের জন্য নয়।’
বিএনপি চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাকে দলটির পক্ষ থেকে মিথ্যা মামলা দাবির জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কোনটা মিথ্যা মামলা প্রমাণ করুন। কোনও মামলা মিথ্যা কি না, সেটা প্রমাণ করতে হলে তো কোর্টে যেতে হবে। কোর্টে গেলে না বোঝা যাবে সেটা মিথ্যা কি না। কিন্তু আপনি কোনটাই করবেন না, আবার কোর্টেও যেতে চান না, কোর্ট থেকে পালান। কারণ, চোরের মন পুলিশ পুলিশ।