খালেদা জিয়ার নাম উল্লেখ না করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘এই মহিলা বলেন মিথ্যা মামলা, মিথ্যা মামলা। কিন্তু কোনটা মিথ্যা মামলা? আন্দোলনের নামে মানুষ পোড়ানোর নির্দেশ আপনি দেননি? এতিমের টাকা চুরি করেননি?’
তিনি বলেন, কোনটা মিথ্যা মামলা প্রমাণ করুন। কোনো মামলা মিথ্যা কি না, সেটা প্রমাণ করতে হলে তো কোর্টে যেতে হবে। কোর্টে গেলে না বোঝা যাবে সেটা মিথ্যা কি না। কিন্তু আপনি কোনটা করবেন না, কোর্টেও যেতে চান না। কারণ, চোরের মন পুলিশ পুলিশ।
বুধবার আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন শ্রমিক লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গণভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠোনে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা এ কথা বলে।
অনুষ্ঠানে শ্রমিকদের উন্নয়নে বর্তমান সরকারের নেয়া নানা পদক্ষেপের পাশাপাশি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও তার পরিবারকে নিয়েও কথা বলেন শেখ হাসিনা।
২০১৩ এবং ২০১৫ সালে বিএনপির সরকারবিরোধী আন্দোলনে পেট্রল বোমায় হতাহতের বিষয়টি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যারা পুড়ে মারা গেছে, এ দৃশ্য তাদের ছেলে বা বাবা দেখেছে, তারা কি বিচার পাবে না? এসব কাজের কি বিচার হবে না? অবশ্যই হবে। যুদ্ধারাধীদের যেমন বিচার আমরা করেছি, এসবের বিচারও হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধাপরাধীদেরকে যারা ম“ দিয়েছে, রক্ষার চেষ্টা করেছে, তাদের বিচারও হবে। তিনি বলেন, ‘অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে, তব ঘৃণা তারে যেন তৃণ সম দহে।’
২০০১ সালে বিএনপি জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসার পর একাত্তরে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পক্ষে গঠিত খুনি বাহিনী আলবদরের দুই নেতা মতিউর রহমান নিজামী ও আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদকে মন্ত্রী বানান খালেদা জিয়া। মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে এই দুই জনেরই ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধীদেরকে যারা ক্ষমতায় বসিয়েছে, তাদেরকে মন্ত্রী করেছে, তাদের বিচার কেন হবে না।’
২০০৪ সালে চট্টগ্রামে ১০ ট্রাক অস্ত্র আটকের ঘটনাটি উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এদেরকে মন্ত্রী বানানোর রেজাল্ট তো এটাই।’
বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ বিএনপি-জামায়াতই তৈরি করেছে অভিযোগ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০১ সালের পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পাহারা দিয়ে জঙ্গিদের মিছিল করতে সহায়তা করেছে। তাদেরও তো বিচার করতে হবে।