নিজস্ব প্রতিবেদক : বুধবার (১২ অক্টোবর) থেকে আগামী ২ নভেম্বর বুধবার পর্যন্ত মোট ২২ দিন দেশের ইলিশ অধ্যুষিত ২৭ জেলার সব নদ-নদীতে ইলিশ ধরা বন্ধ থাকবে। মা ইলিশকে ডিম ছাড়ার সুযোগ দিতেই এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে সরকার। এসময় ক্রেতা-বিক্রেতা, জেলে, আড়তদার, প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সবার জন্য যা করণীয়-
ক্রেতাদের করণীয়:
১. হাট, বাজার, আড়ৎ, চেইনশপ বা যেকোনও স্থান থেকে এসময়ে ইলিশ ক্রয় করবেন না।
২. কোনও ক্রেতা ইলিশ সংরক্ষণও করতে পারবেন না।
৩. খাবার হোটেলগুলোতে ইলিশের তরকারি বা মাছ বিক্রি করা যাবে না।
৪. এসময় ইলিশ কিনলে তা আইনের চোখে অপরাধ বলে গণ্য হবে।
৫. ক্রেতা সরকারের এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে সর্বোচ্চ ৬ মাসের জেল বা এক লাখ টাকা জরিমানা করা হবে।
আড়তদারদের করণীয়:
১. এই ২২ দিনে দেশের ইলিশের সব আড়ৎ বন্ধ থাকবে।
২. আড়তগুলোতে ইলিশ কেনাবেচা করা যাবে না।
৩. আড়তে ইলিশ মজুদ রাখা যাবে না।
৪. সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করার করলে আড়তদার ৬ মাসের জেল এবং এক লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
স্থানীয় প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর করণীয়:
১. মৎস্য কর্মকর্তা সার্বক্ষণিক স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করবেন।
২. উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বা জেলা প্রশাসক সমগ্র জেলার জেলেদের তালিকা তৈরি করবেন।
৩.এ ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের সহায়তা নেবেন।
৪.জেলেদের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া খাদ্য সহায়তা সুষ্ঠুভাবে বণ্টন করবে।
৫. কোনও জেলে যাতে ইলিশ না ধরেন- নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, কোস্টগার্ড, পুলিশ, নৌপুলিশ, র্যাব, বিজিবি, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন যৌথভাবে তা বাস্তবায়ন করবে।
জেলেদের করণীয়:
১.প্রতি বছর স্থানীয় মৎস্য কর্মকর্তা পেশাজীবী জেলেদের তালিকা তৈরি করেন ।
২.ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে নিজেদের জন্য বরাদ্দকৃত সরকারি খাদ্য নিয়ে আসতে হবে।
৩.তালিকায় নিজের নাম না থাকলে দ্রুত ইউপি চেয়ারম্যান, মৎস্য কর্মকর্তা, এমনকি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করতে হবে।
৪. প্রত্যেক জেলে পরিবার সর্বোচ্চ ৩০ কেজি চাল পাবে।
৫. জেলেদের মনে রাখতে হবে, তালিকাভুক্ত না তাহলে সরকারি খাদ্য সহায়তা পাবেন না।
এসময়ে অভিযান চলবে:
১. নদীতে র্যাব, পুলিশ বা কোস্টগার্ডের অভিযান চলবে।
২. হাটবাজারে অভিযান চলবে। মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে।
৩. শহরের বিপণীবিতানগুলোতে (চেইন শপ) অভিযান পরিচালিত হবে।