স্পোর্টস ডেস্ক : কানপুরে প্রথম ইনিংস প্রতিপক্ষ দুই দলকে এভাবে মিলিয়ে দেবে কে জানত! দুই দলেরই ইনিংসের শেষটা হলো বেশ বাজেভাবে। ভারতের শেষ ৫ উইকেট পড়েছিল ৫৭ রানে, নিউজিল্যান্ড অবশ্য আক্ষরিক অর্থেই যাচ্ছেতাই—তাদের শেষ ৫ উইকেট পড়েছে মাত্র ৭ রানে! কিউইদের লেজটা দারুণভাবে মুড়ে দিয়ে ৫৬ রানের লিড পেল ৩১৮ রানে অলআউট হওয়া বিরাট কোহলির দল। নিউজিল্যান্ডের ইনিংস শেষ হয়েছে ২৬২ রানেই।
৫ উইকেট নিয়ে নিউজিল্যান্ডের ধসের মূল কারিগর স্পিনার রবীন্দ্র জাদেজা। প্রথম ১৯ ওভারে উইকেটই পাননি, পরের ১৫ ওভারে তাঁর শিকার রস টেলর, লুক রনকি, মার্ক ক্রেইগ, ইশ সোধি ও ট্রেন্ট বোল্ট। এর আগে ব্যাট হাতে করেছিলেন ৪০ রান। তাঁর ইনিংসটাই ৩০০ পার করে দিয়েছিল ভারতের।
শুরুটা খুব জুতসই হয়নি কিউইদের। ৩৫ রানেই তারা হারায় মার্টিন গাপটিলকে। তবে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে টম ল্যাথাম ও অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন দারুণ খেলছিলেন। ১২৪ রানের জুটিতে বড় লিডের স্বপ্নও দেখছিল কিউইরা। কিন্তু ল্যাথাম ৫৮ রানে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বলে বোল্ড হলে নিউজিল্যান্ড খেই হারাতে শুরু করে। উইলিয়ামসন অবশ্য আরও কিছুক্ষণ হাল ধরে রেখেছিলেন। কিন্তু তিনি ৭৫ রান করে তিনিও সেই অশ্বিন-ঘূর্ণিরই শিকার।
দ্বিতীয় উইকেট জুটির পর নিউজিল্যান্ডের বলার মতো জুটি কেবল দুটো—পঞ্চম উইকেটে লুক রনকি আর স্যান্টনারের ৪৯ ও ষষ্ঠ উইকেটে স্যান্টনার ও বিজে ওয়াটলিংয়ের ৩৬। এরপরই সেই ‘তাসের ঘর।’ শূন্য রানে ফিরেছেন ইশ সোধি, ট্রেন্ট বোল্ট ও নেইল ওয়াগনার।
জাদেজার ৫ উইকেটের পাশাপাশি অশ্বিনও পেয়েছেন ৪ উইকেট। অন্য উইকেটটি উমেশ যাদবের। মাত্র ৭ রানে ৫ উইকেট হারালেও এটি অবশ্য রেকর্ড নয় নিউজিল্যান্ডের। ১৯৯২-৯৩ মৌসুমে কলম্বোর পি সারাভানামুত্তু মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৫ রানে শেষ ৫ উইকেট হারিয়েছিল নিউজিল্যান্ড।
এ প্রতিবেদন লেখার সময় দ্বিতীয় ইনিংসে ১৩ ওভারে বিনা উইকেটে ৪১ করেছে ভারত। সূত্র: স্টার স্পোর্টস ১।