ফারাক্কা বাঁধের গেট খুলে দেয়ায় এবার বাংলাদেশে ইলিশ বেশি ধরা পড়েছে দাবি করেছে ভারতের একটি পত্রিকা। শনিবার উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রভাবশালী বাংলা দৈনিক যুগশঙ্খ এক প্রতিবেদনে এ দাবি করে।
পত্রিকাটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিহারের বন্যার কারণে গত মাসে ফারাক্কার বাঁধ খুলে দেয়া হয়েছিল। এ জন্য কম সমালোচনা হয়নি বাংলাদেশে। প্রতিবেশি দেশটিতে ভারতবিরোধীরা সমালোচনা করে মুখে ফেনা তুলেছিলেন। অথচ সেই ফারাক্কার কারণেই ভাগ্য খুলেছে বাংলাদেশের জেলে ও ব্যবসায়ীদের। গত দশ বছর পর লাভের মুখ দেখেছেন তারা।
জেলেরা জানিয়েছেন, ফারাক্কার গেট খুলে দেয়ায় পানির প্রবাহে এ অঞ্চলে মিঠা পানির উচ্চতা বাড়ায় ঝাঁকের ইলিশের বিচরণ বেড়েছে। ঝাঁকে ঝাঁকে আসা এসব ইলিশ জেলেদের জালে ধরা পড়ছে। ব্যবসায়ীরা জানান, গত দশ বছর লোকসান গুণলেও এবার ফারাক্কার কারণে লাভ হচ্ছে।
যুগশঙ্খ জানিয়েছে, গত কয়েকদিনে পদ্মা, মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদী আর সাগর মোহনায় ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ মাছ ধরা পড়ছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর সবচেয়ে বেশি ইলিশ ধরা পড়ছে জেলেদের জালে। ইলিশের এই মৌরসুমে উপকূল আর জেলে পল্লীগুলো ইলিশ উৎসবে সরগরম। ১৭ দিনে ভোলা জেলায় ইলিশের উৎপাদন এক লাখ মেট্রিক টন ছাড়িয়েছে। মৎস্য বিভাগ এ বছর এক লাখ মেট্রিক টন ইলিশ উৎপাদন ও আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল।
বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউটের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আনিসুর রহমান জানান, ভোলার শাহবাজপুর চ্যানেলেসহ উপকূলের কয়েকটি পয়েন্টে পানির প্রবাহ বেড়ে যাওয়ায় ইলিশের খাদ্যের উপাদান বেড়েছে। এ কারণে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ মাছ এ অঞ্চলে আসছে।
মেঘনা নদীর জেলে ইব্রাহিম, ফারুক, ইউছুফ জানান, সারা বছর ইলিশের আকাল ছিল। মুনি-অমাবস্যার জোঁ থেকে পানির প্রবাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় ও নোনা জল সরে মিঠা জলের আধিক্যের কারণে মেঘনার বড় ইলিশ ঝাঁকে ঝাঁকে আসতে শুরু করেছে। এর কারণ এবার ফারাক্কার বাঁধের সবকটি গেট খুলে দেয়া হয়েছি।
আমাদের সময়.কম